• চর জেগে উঠেছে, শশা-তরমুজ চাষে স্বপ্ন দেখছেন ভাঙন দুর্গতরা  
    বর্তমান | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, হরিশ্চন্দ্রপুর: নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে গিয়েছে বিঘা বিঘা জমি। অনেকের বাড়ি তলিয়ে গিয়েছে নদীগর্ভে। জল কমলেও ভাঙন অব্যাহত। তবে নদীর চর জেগে ওঠায় নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের ইসলামপুর ও দৌলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ফুলহার নদী তীরবর্তী এলাকার চাষিরা। চরে তরমুজ ও শশা চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন অধিকাংশ চাষি। অনেকে এরমধ্যে বীজ বপনের কাজ শুরু করে দিয়েছেন। প্রতি বছর বর্ষায় ফুলহার নদীর জল বাড়তেই ভাঙন দেখা যায়। আর নদীর চর জেগে উঠতেই নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে চাষিরা তরমুজ ও শশা বীজ বপনে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ইসলামপুর পঞ্চায়েতের রশিদপুর, খোঁপাকাটি, মিরপাড়া, তাঁতিপাড়া, কাউয়াডোল, দৌলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর ভাকুরিয়া ও দক্ষিণ ভাকুরিয়া এলাকার প্রায় শতাধিক কৃষক তরমুজ ও শশা চাষ করেন। এখানকার তরমুজ অন্য অঞ্চলের তুলনায় বেশি রসালো ও মিষ্টি বলে চাহিদাও অনেক বেশি। ভালো ফলনের পাশাপাশি বেশি মুনাফা হওয়ায় বাড়ছে তরমুজ চাষির সংখ্যা।


    দৌলতনগর অঞ্চলের চাষি ফুদেন সিংয়ের কথায়, নদী ভাঙনে আমার শেষ সম্বল দুই বিঘা জমি চলে গিয়েছে। দুই ছেলে ও স্বামী, স্ত্রী মিলিয়ে চারজনের পরিবার। বছরের ছ’মাস ভিনরাজ্যে কাজ করতে হয়। বাকি সময় চাষ করি।  দিনে ২-৩ বার সেচ দিয়ে তপ্ত বালুতে গাছের শিকড় ভিজিয়ে রাখতে হয়। পোকার আক্রমণ হলে কীটনাশক ব্যবহার করে চার থেকে পাঁচ মাস পরিচর্যা করলে পাওয়া যায় সুস্বাদু তরমুজ। এই চাষে ভালোই রোজগার হয়। আরেক চাষি করিমুল হোসেন বললেন, এবছর পাঁচ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। এই চরের তরমুজ বেশি রসালো ও সুস্বাদু হওয়ায় বিক্রি করতে অসুবিধা হয় না। পাইকাররা এসে জমিতেই টাকা বুঝিয়ে দিয়ে তরমুজ নিয়ে যায়। সরকার চাষিদের ঋণ দিলে তরমুজ চাষে উৎসাহ বাড়বে। জেলা পরিষদের কৃষি, সেচ ও সমবায় কর্মাধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম বলেন, তরমুজ চাষে চাষিরা যাতে উৎসাহিত হন, সেজন্য ঋণ দেওয়ার বিষয়টি জেলায় জানাব।  - নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)