• পাতলাখাওয়ায় চলছে আবাসস্থলের কাজ, কবে আসবে গন্ডার, জানেই না বনদপ্তর
    বর্তমান | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: কোচবিহারের পাতলাখাওয়া জঙ্গলে গন্ডারের আবাসস্থল গড়া হচ্ছে। জঙ্গলের একধার দিয়ে তারঘেরা ইলেক্ট্রিক ফেনসিং দেওয়া হচ্ছে। ১১কিমি জঙ্গল এলাকা ঘিরে দেওয়া হবে। লাগানো হচ্ছে গন্ডারের খাওয়ার উপযোগী বিভিন্ন ধরনের ঘাস। গন্ডারের বিচরণের জন্য কাদাযুক্ত জলাশয় তৈরি হচ্ছে। কিন্তু, এতো কিছুর উদ্যোগ নেওয়া হলেও পাতলাখাওয়ার জঙ্গলে শেষ পর্যন্ত গন্ডার কবে আসবে, তা জানেই না বনদপ্তর। একটি জঙ্গল এলাকায় নতুন করে একটি বন্যপ্রাণীর বসবাসের উপযুক্ত করে তুলতে হলে কিছু বছর সময় লাগে বলে দাবি তাদের। 


    কোচবিহারের ডিএফও অসিতাভ চট্টোপাধ্যায় বলেন, পাতলাখাওয়ায় গন্ডারের আবাসস্থল গড়ে তোলার জন্য নান রকম ঘাস লাগানো হচ্ছে। জলাভূমি ও কাদা তৈরি হচ্ছে। জঙ্গলের একাংশ এলাকা ঘিরে দেওয়ার কাজের জন্য প্রকল্প তৈরি হয়েছে। সব ধরণের কাজই চলছে। তবে গন্ডার কবে ছাড়া হবে, তার কোনও সবুজ সঙ্কেত আসেনি।


    কোচবিহারের পুণ্ডিবাড়ির পাতলাখাওয়ার জঙ্গলে প্রচুর বাইসন রয়েছে।  সংখ্যা প্রায় ১০০-র কাছাকাছি। এগুলি জঙ্গলের ভিতরে তিনটি দলে ভাগ হয়ে বিচরণ করে। কিছু দলছুট বাইসনও রয়েছে। বাইসনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া ও নানা কারণে মাঝেমাঝে সেগুলি লোকালয়ে বেরিয়ে পড়ে। এতে অনেকে বাইসনের আক্রমণের মুখে পড়েছেন। অনেকে জখম হয়েছেন। ঘটেছে প্রাণহানিও। যা নিয়ে বনদপ্তর উদ্বিগ্ন।


    এদিকে, পাতলাখাওয়ার জঙ্গলে গন্ডার ছাড়ার উদ্যোগ বহুদিন আগে নেওয়া হয়েছিল। তৎকালীন বনমন্ত্রী বছরকয়েক আগে পাতলাখাওয়ার জঙ্গলে এসে পরিকাঠামো পরিদর্শন করে যান। বনদপ্তর জঙ্গলের ভিতরে চেপটি, মালসা, ডাড্ডা প্রভৃতি ঘাসের জঙ্গল গড়ে তুলছে। এসব ঘাস যাতে আগামীদিনে এখানে চাষ করা যায়, তার জন্য নার্সারি গড়ে তোলা হয়েছে। পাতলাখাওয়ার জঙ্গলের একদিকে পুণ্ডিবাড়ি, রসমতি, খাগড়াবাড়ি রয়েছে। এইদিক দিয়ে অনেক সময় বাইসন বেরিয়ে আসে। গন্ডার ছাড়া হলে সেগুলিও বেরিয়ে আসতে পারে বলে আশঙ্কা। তাই নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সেখানে তার দিয়ে ঘেরার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গন্ডার এবং এলাকা, দুয়েরই সুরক্ষা নিশ্চিত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)