সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: বংশীহারি সুদর্শননগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল খাওয়ার পর্যাপ্ত থালার অভাব রয়েছে। শেডের অভাবে বারান্দায় বসে খাবার খাচ্ছে খুদে পড়ুয়ারা। বংশীহারি ব্লকের পাথরঘাটা এলাকায় রয়েছে এই স্কুল। অর্ধ শতাব্দী প্রাচীন স্কুলটিতে বর্তমানে ২৮০জন পড়ুয়া। কিন্তু স্কুলে মিড ডে মিল খেতে সমস্যায় পড়েছে তারা।
২০১৭ সালে বংশীহারি ব্লকের তরফে কিচেন শেড তৈরি করে দিলেও তা পর্যাপ্ত নয়। সেখানে মাত্র ৩০ জন একসঙ্গে বসে খেতে পারে। গত কয়েক বছরে পড়ুয়া সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে স্কুলে। টিফিনের সময় কিচেন শেডে জায়গা না হওয়ায় ক্লাসরুম ও বারান্দায় বসে খাবার খেতে হচ্ছে শিশুদের। এদিকে পর্যাপ্ত থালার সমস্যা। অভিযোগ, স্কুলে মেরেকেটে ১০০ টি থালা রয়েছে। প্রতিদিন গড়ে আড়াইশোরও বেশি পড়ুয়া স্কুলে আসে। যা একশো থালায় কুলোয় না। ১০০ জনের খাওয়া হয়ে যাওয়ার পর বাকিরা খায়। কারণ, স্বনির্ভর দলের মহিলারা থালা মেজে তারপর পড়ুয়াদের খেতে দেয়।
এবারে পঞ্চম শ্রেণি চালু হওয়ায় আরও অন্তত ৫০ জন পড়ুয়া বাড়বে। তাতে মিডডে মিল খাওয়াতে আরও সমস্যা বাড়বে স্কুল কর্তৃপক্ষের।
অভিযোগ, স্কুল কর্তৃপক্ষ নিজস্ব তহবিল থেকে মিডডে মিলের জন্য থালা কিনতে উদ্যোগী হলেও মিলছে না ব্লক ও জেলা প্রশাসনের অনুমতি। লিখিত অভিযোগ জানিয়েও হচ্ছে না সমাধান। এই পরিস্থিতে পড়ুয়াদের বাড়ি থেকে থালা, গ্লাস আনতে হচ্ছে।
বিষয়টি জানা নেই বংশীহারি সদর সার্কেলের এসআই মোকসেদ আলমের। বিষয়টি জানার পর তিনি বলেন, খোঁজ নিয়ে দেখব।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক মৃণাল সিংহ রায় বলেন, পর্যাপ্ত শেড নেই। ৩০ জনের বেশি চেয়ার টেবিলে বসতে পারে না। বাকি পড়ুয়ারা ক্লাসরুম ও বারান্দায় বসে খায়। থালার সমস্যা রয়েছে। কোনও ডাস্টবিন নেই। বিষয়টি ব্লক প্রশাসনকে জানিয়েও সমাধান হয়নি। বিডিও সুব্রত বল বলেন, স্কুল কর্তৃপক্ষকে ডেকে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে। (স্কুলে খাবার জায়গায় শেড নেই।-নিজস্ব চিত্র)