বহরমপুরের হোটেলে আটকে কিশোরীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৪
বর্তমান | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: বহরমপুরের একটি হোটেলে আটকে রেখে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। দিন কয়েক আগে তাকে ভুল বুঝিয়ে ওই হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। তাকে জোর করে দেহ ব্যবসায় নামানো হচ্ছিল বলে অভিযোগ। তিন দিন ধরে তাকে আটকে রেখে দেওয়া হয় ওই হোটেলে। বুদ্ধি খাটিয়ে ওই নাবালিকা বাইরে বেরিয়ে এসে থানায় অভিযোগ জানায়। তার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস পকসো সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিস চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতদের মধ্যে এক যুবক ও তার স্ত্রী, নাবালিকা কন্যা যেমন রয়েছে, তেমনই তারই এক পরিচিত প্রৌঢ়া রয়েছে। ওই প্রৌঢ়া হোটেলে নিয়মিত ব্যবসা করে বলেই পুলিস জানিয়েছে। অভিযুক্তদের বাড়ি বহরমপুরের একটি গ্রামে। তাদের বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে থাকত ওই অভিযোগকারী নাবালিকা। অভিযুক্তের মেয়ের সঙ্গে ওই নাবালিকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল বলে পুলিস জানিয়েছে। সেই সূত্রেই তাকে ভুল বুঝিয়ে হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে পুলিস মনে করছে।
বহরমপুর থানার আইসি উদয়শঙ্কর ঘোষ বলেন, তিনদিন ধরে নাবালিকাকে সেখানে জোর করে আটকে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ। আমরা অভিযোগ পেয়েই পকসো সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছি। চারজনকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানো হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে। এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটলেই পুলিস কড়া ব্যবস্থা নেবে। কাউকেই রেয়াত করা হবে না। এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কি না, তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পুলিস জানতে পেরেছে, ওই নাবালিকাকে ভুল বুঝিয়ে হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপরই তাকে দেহ ব্যবসায় নামানোর চেষ্টা হয়েছিল। নাবালিকা রাজি না হলে তাকে তিনদিন ধরে হোটেলে আটকে রাখা হয়। সে কোনওরকমে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই অভিযোগকারী নাবালিকার মেডিক্যাল পরীক্ষা থেকে শুরু করে আদালতে গোপন জবানবন্দি নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে।