• প্রয়াত কুশাং শেরপা, শোকের ছায়া পর্বতারোহী মহলে নামল
    বর্তমান | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা ও সংবাদদাতা, দার্জিলিং: মাত্র ১৪ বছর বয়সে বাড়ি থেকে পালিয়ে এক অভিযাত্রী দলের মালবাহক বা পোর্টার হিসেবে পর্বতারোহণের ‘হাতেখড়ি’ হয়েছিল তাঁর। সেই কিশোরই ভবিষ্যতে হয়ে ওঠেন পর্বতারোহণের জগতে এক উজ্জল ব্যক্তিত্ব। একাধিক বিরল কৃতিত্বের অধিকারী হন। তিনি কুশাং দর্জি শেরপা। শনিবার দার্জিলিংয়ের ঘুমে নিজের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাঁর স্ত্রী ও চার সন্তান বর্তমান। 


    ১৯৬৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নেপালের মাকালু এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন কুশাং। ১৯৯৩ সালের ১০ মে তিনি দক্ষিণ-পূর্ব ‘রিজ রুট’ দিয়ে মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেন। তার কয়েক বছর পর, ১৯৯৯ সালের ২৮ মে তিনি ফের বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের শীর্ষে ওঠেন। এই অভিযান তিনি সম্পন্ন করেন এভারেস্টের ‘ইস্ট ফেস’ (খাঙসুঙ ফেস) দিয়ে। এভারেস্টে ওঠার যতগুলি পথ রয়েছে, তার মধ্যে এই দিক দিয়ে আরোহণ সবচেয়ে কঠিন ও কষ্টসাধ্য। বিশ্বের প্রথম পর্বতারোহী হিসেবে কুশাং তিন দিক দিয়ে এভারেস্ট জয়ের সাফল্য অর্জন করেন। এই কৃতিত্ব তাঁকে বিশ্বজোড়া পরিচিতি এনে দেয়। ২০০৩ সালে ভারত সরকার তেনজিং নোরগে ন্যাশনাল অ্যাডভেঞ্চার পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করে তাঁকে। পরবর্তীকালে তিনি হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের একজন প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করেন। বছর চারেক আগে তিনি ওই কাজ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। এভারেস্টজয়ী বিশিষ্ট পর্বতারোহী দেবরাজ দত্ত বলেন, ‘কুশাং শেরপার মৃত্যু আমাদের সমগ্র পর্বতারোহী কমিউনিটির জন্যই বড় ক্ষতি। তাঁর অসামান্য কৃতিত্ব ও অর্জন ভবিষ্যতের পর্বতারোহীদের উদ্বুদ্ধ করবে।’  
  • Link to this news (বর্তমান)