সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ: এবার কাকদ্বীপ শহরে বৈদ্যুতিক চুল্লি তৈরির দাবি তুললেন এলাকাবাসীরা। এই মহকুমার কোথাও বৈদ্যুতিক চুল্লি নেই। ফলে এখানে শবদেহ দাহ করতে অনেক বেশি টাকা খরচ হয় বলে তাঁদের দাবি। জানা গিয়েছে, কাকদ্বীপ থেকে প্রায় ৪৩ কিলোমিটার দূরে বিষ্ণুপুরে একটি বৈদ্যুতিক চুল্লি রয়েছে। কাকদ্বীপ থেকে গাড়ি ভাড়া করে বিষ্ণুপুরে গিয়ে শবদেহ দাহ করতে অনেক টাকা খরচ পড়ে যায়। তাছাড়া কাকদ্বীপ শ্মশানে কাঠের চুল্লিতে দাহ করতেও অনেক বেশি খরচ পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মত, কাকদ্বীপে একটি বৈদ্যুতিক চুল্লি হলে দাহকাজের খরচ অনেকটাই কমে যাবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাকদ্বীপ শ্মশানে একটি শবদেহ দাহ করতে প্রায় ২৫০০ টাকা খরচ পড়ে। দাহ করার সার্টিফিকেট সহ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য শ্মশান কর্তৃপক্ষকে ৪০০ টাকা দিতে হয়। এছাড়াও একটি দেহ দাহ করার জন্য সাধারণত সাত মন কাঠের প্রয়োজন হয়। বর্তমান এক মন কাঠের দাম প্রায় ৩০০ টাকা। সব মিলিয়ে প্রায় আড়াই হাজার টাকা শ্মশানে খরচ পড়ে। শবদেহ যদি গাড়িতে করে নিয়ে আসা হয়, তাহলে আরও অতিরিক্ত টাকা খরচ হয়।
এ বিষয়ে কাকদ্বীপের এক বাসিন্দা দেবাশিস দাস বলেন, বিষ্ণুপুরের বৈদ্যুতিক চুল্লিতে শবদেহ দাহ করতে ১২০০ টাকা নেওয়া হয়। কিন্তু কাকদ্বীপের শ্মশানে কাঠের চুল্লিতে দাহ করতে একজনের অনেক বেশি খরচ হয়ে যায়। এছাড়াও কাকদ্বীপের শ্মশানটি একদম বাজারের উপরে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে। শবদেহ দাহ করলে চারিদিকে গন্ধ ও ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে। শহরের মধ্যে এমন দূষণ কখনই ঠিক নয়। তাই কাকদ্বীপ শহরে একটি বৈদ্যুতিক চুল্লি হলে এলাকাবাসীর অনেক সুবিধা হবে। কাকদ্বীপের বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা বলেন, কাকদ্বীপে একটি বৈদ্যুতিক চুল্লি তৈরি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে শীঘ্রই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। - নিজস্ব চিত্র