• সম্পর্কের টানাপোড়েন, রাগের বশে  প্রেমিকের গোপনাঙ্গে কোপ তরুণীর
    বর্তমান | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: দীর্ঘদিনের সম্পর্কে টানাপোড়েন। তারই জেরে প্রেমিককে নির্জন জায়গায় ডেকে তাঁর গোপনাঙ্গে ধারালো অস্ত্রের কোপ মারল প্রেমিকা। গুরুতর আহত অবস্থায় শেখ কাইফ নামের ওই যুবককে এস এস কে এম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যুবকের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রেমিকা সুমাইয়া খাতুনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ডোমজুড়ের পার্বতীপুরে।


    আহত যুবকের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ডোমজুড়ের পার্বতীপাড়ায় ঢিল ছোড়া দূরত্বে বাড়ি কাইফ ও সুমাইয়ার। বছর দুয়েক আগে দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই সম্পর্কের কথা দুই বাড়িই জানত। কয়েক মাস আগে অবশ্য ছেদ পড়ে সম্পর্কে। সম্প্রতি ফের দু’জনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা শুরু হলেও মান-অভিমানের পর্ব চলছিল। অভিযোগ, শনিবার রাতে সুমাইয়া দেখা করবে বলে স্থানীয় শেখপাড়া বাঁশতলা এলাকার একটি বাগানে ডেকে পাঠায় কাইফকে। এরপর ‘সারপ্রাইজ’ দেওয়ার নাম করে প্রেমিকের হাত-পা গাছের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে দেয়। রুমাল দিয়ে ঢেকে দেয় তাঁর চোখও। এরপর একটি ধারালো ছুরি দিয়ে কোপ মারে কাইফের যৌনাঙ্গে। গুরুতর জখম অবস্থায় রাত ৮টা নাগাদ বাড়ি ফেরেন কাইফ। পরিবারের সদস্যরা জানান, বাড়িতে ফিরে যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকেন তিনি। পরিবারকে গোটা ঘটনার কথা জানান। সঙ্গে সঙ্গে কাইফকে প্রথমে ডোমজুড় গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে এস এস কে এম হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই আপাতত চিকিৎসাধীন ওই যুবক। শনিবার রাতে অভিযুক্ত প্রেমিকা সুমাইয়া খাতুনকে গ্রেপ্তার করেছে ডোমজুড় থানার পুলিস। 


    পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই তরুণী মান-অভিমান থেকে রাগের বশেই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে। হাওড়া সিটি পুলিসের এক কর্তা বলেন, ‘এই ধরনের ঘৃণ্য ঘটনা ওই তরুণী একাই ঘটিয়েছে, নাকি অন্য কারও মদত ছিল, সবটাই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’ আহত যুবকের মা নার্গিস বেগম বলেন, ‘আমার ছেলের সর্বনাশ করার জন্য ওই সুমাইয়াকে কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক।’ অন্যদিকে, অভিযুক্ত তরুণীর কাকা রেজাউল শেখ বলেন, ‘অনেকদিন ধরেই ভাইজির সঙ্গে প্রেম করার নাম করে ব্ল্যাকমেল করছিল কাইফ। ভাইঝি তা সহ্য করতে পারছিল না। সেই কারণেই হয়তো এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে ওর শাস্তি হওয়া উচিত।’ - নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)