• বাংলার গর্ব ১৫৮ বারের রক্তদাতা
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • জীবনদানের কথা উঠলেই রক্তদানের কথাই প্রথম মনে পড়ে। রক্তদান ও জীবনদান সমার্থক।  প্রতি বছর, রক্তের অভাবে অন্তত ১২০০০ ভারতীয় মারা যান। নিয়মিত রক্তদানই এই রক্তের অভাব দূর করতে পারে। অনেক প্রচলিত মিথ বা সংস্কার এবং ভয়,সচেতনতার অভাব মানুষকে রক্তদান করা থেকে বিরত রাখে।

    রক্তদান সমাজের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি সেবা। অসংখ্য ক্লাব ও সংস্থা নিয়মিত স্বেচ্ছায় রক্তদান করে দেশের ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিকে সচল রাখতে চেষ্টা করে।

    কিছুদিন আগে সকলকে রক্তদানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী একে অপরের পাশে দাঁড়াবার পরামর্শ দিয়েছেন। স্বেচ্ছায় রক্তদানকারিদের উৎসাহ দিয়ে তিনি বলেছেন,মানুষের জীবন বাঁচানো মনুষ্যত্বের একটি বড় দিক।

    কিছু মানুষ আছেন যারা নীরবে রক্তদানের মাধ্যমে জীবনদান করে চলেছেন। মেদিনীপুর ভলিউন্টারি ব্লাড ডোনার্স এন্ড সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ফোরামের সম্পাদক শ্রী জয়ন্ত মুখার্জী আঠার বছর বয়স থেকেই রক্তদান করছেন মানবসেবায় নিবেদিত এই প্রাণ। আজ তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রম ও রক্তদান কর্মসূচীর জন্য অবিভক্ত মেদিনীপুরে অসংখ্য মানুষ ফিরে পাচ্ছেন নতুন জীবন। যেটি আশ্চর্যের বিষয় তা হল জয়ন্তবাবু নিজে ১৫৮ বার রক্তদান করেছেন। শুধু রক্তদানই নয় তিনি বছরে তিনশ বারের বেশি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেন। গত ৮ই ডিসেম্বর’২৪ মেদিনীপুর সোশ্যাল ওয়েলফেয়ারের প্রবীণ সদস্যরা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার হুমগড়ের বনকাটি গ্রামে বিশ্বপ্রীতি সংঘের সহায়তায় রক্তদান অনুষ্ঠানে তাঁকে ১৫৮তম রক্তদান করতে দেখা গেল।

    জয়ন্তবাবুর সাহস, মানসিকতাকে কুর্ণিশ জানাবার ভাষা নেই। কতো মানুষ যে আড়ালে থেকে মানুষ তথা সমাজের নিরন্তর সেবা করে চলেছেন, অসহায় মানুষের জীবনদান করে চলেছেন তার গর্বিত উদাহরণ জয়ন্ত মুখার্জী।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)