• তরুণী খুনে ধরা পড়েনি কেউ, গেল মহিলা কমিশন
    আনন্দবাজার | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • পেরিয়ে গিয়েছে ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময়। উত্তর ২৪ পরগনারএকটি প্রান্তিক এলাকায় পুকুরথেকে আদিবাসী এক তরুণীর হাত-পা, মুখ বাঁধা দেহ উদ্ধারের ঘটনায় রবিবার রাত পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তাঁকে গণধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। এ দিন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যেরা তাঁর বাড়িতে গিয়ে পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়ার পাশাপাশি ঘটনার দ্রুত তদন্ত দাবি করেছেন।

    পুলিশ জানিয়েছে, খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত চলছে। জেলার পদস্থ পুলিশ আধিকারিকেরা তদন্তে নেমেছেন। ফরেন্সিক দল এলাকা থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে। এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘এখনও কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি।’’

    গত বুধবার বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিলেন ওই তরুণী। শনিবার সকালে স্থানীয় একটি পুকুর থেকে তাঁর হাত-পা ও মুখ বাঁধা দেহ উদ্ধার হয়। দেহ যাতে ভেসে না ওঠে, কোমরে দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল ইট। দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্নও মেলে বলে পরিবারের দাবি।

    এ দিন সকালে এলাকায় আসে জাতীয় মহিলা কমিশনের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল। তাঁরা প্রথমে তরুণীর বাড়িতে গিয়ে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন।পরে যে পুকুর থেকে দেহউদ্ধার হয়, সেই পুকুর পরিদর্শন করেন। থানায় গিয়ে পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা বলেন তাঁরা। দ্রুত অপরাধীদের গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক সাজার দাবিজানানো হয়। জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার বলেন, “আমরা পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এসেছি। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে, ওঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছি। পুলিশের সঙ্গেও কথা বলেছি। অপরাধীরা যাতে দ্রুত ধরা পড়ে, তার অনুরোধ জানিয়েছি।” এ দিন এক্স-হ্যান্ডলেও তরুণীর বিচারের দাবিতে সরব হন অর্চনা।

    তরুণীর বাড়িতে আসেন অখিল ভারত আদিবাসী বিকাশ পরিষদের কর্মীরাও। তাঁরাও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে পাশে থাকার আশ্বাস দেন। আদিবাসী সম্প্রদায়ের ওই তরুণীকে ধর্ষণকরে খুনের প্রতিবাদে এলাকায় প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ মিছিল করেন তাঁরা। দোষীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে থানায় গিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথাও বলেন সংগঠনের সভাপতি বিরসা তিরকি।

  • Link to this news (আনন্দবাজার)