পুলিশ সূত্রের খবর, গত অক্টোবরে বিপুল কর্মকার নামে বৌবাজারের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী থানায় অভিযোগে জানান, গয়না তৈরির নাম করে তাঁর কাছ থেকে কিছু সোনা নিয়ে গিয়েছিল দিলীপ। সেগুলি পরীক্ষা করে ফেরত দেওয়ারও কথা ছিল তাঁর। কিন্তু, কাজের কাজ কিছুই হয়নি। উল্টে সোনাও ফেরত দেয়নি ওই ব্যক্তি।
অভিযুক্ত দিলীপের বাড়ি কৃষ্ণনগরের কোতোয়ালি থানা এলাকায়। সেখানে এবং একাধিক জায়গায় হানা দিয়েও পুলিশ তার নাগাল পাচ্ছিল না। এর পরে একটি সূত্রে পুলিশ জানতে পারে, মাঝেমধ্যেই সিনেমা দেখতে যায় অভিযুক্ত। সপ্তাহে অন্তত একটি সিনেমা তার দেখা চাই-ই। এর পরে কৃষ্ণনগর এবং কলকাতার একাধিক সিনেমা হলে সাদা পোশাকে নজরদারি শুরু করে পুলিশ। সেই সূত্রেই শনিবার কলকাতা পুলিশের একটি দল ছিল কৃষ্ণনগরের সঙ্গীতা সিনেমা হলের কাছে। সেখানেই সিনেমা দেখতে গিয়ে ধরে পড়ে যায় দিলীপ। রাতেই তাকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়।
জেরা করে ধৃতের কাছ থেকে ৪৪১ গ্রাম সোনা এবং নগদ ৪৫ হাজার টাকা উদ্ধার হয়। পুলিশের দাবি, দিলীপ জেরায় জানিয়েছে, যে সোনা সে নিয়েছিল, তার কিছুটা বিক্রি করে দিয়েছিল। আদালতে আইনজীবী দাবি করেন, ধৃতের সঙ্গে আর কেউ জড়িত কিনা, তা দেখা প্রয়োজন। সোনা বিক্রি করে দেওয়ার দাবিও ঠিক কিনা, তা খতিয়ে দেখে আরও কিছু সোনা উদ্ধার করা যায় কিনা, তা-ও দেখার দরকার আছে। সওয়াল-জবাব শুনে বিচারক ধৃতকে পুলিশি হেফাজতে পাঠান। লালবাজারের এক কর্তার দাবি, ধৃতের পুরনো অপরাধের রেকর্ড আছে কিনা, তা দেখা হচ্ছে। কয়েক দিন আগেই সিবিআই আধিকারিক পরিচয়ে বৌবাজার থেকে সোনা লোপাটের একটি চক্রর কয়েক জন সদস্যকে ধরেছে পুলিশ। দিলীপের সঙ্গে সেই চক্রের যোগ রয়েছে কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।