• শিলিগুড়ির হোটেলেও ঢুকতে দেওয়া হবে না বাংলাদেশীদের!
    ২৪ ঘন্টা | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নারায়ণ সিংহরায়: জল্পনা চলছিলই। জাতীয় পতাকার আবমাননা ও ভারতের প্রতি কটুক্তির প্রতিবাদে এবার বাংলাদেশে নাগরিকদের বয়কটে সিদ্ধান্ত নিলেন শিলিগুড়ির হোটেল ব্যবসায়ীরাও। সাংবাদিক বৈঠকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হল, বাংলাদেশের কোনও পর্যটককে হোটেল ভাড়া দেওয়া হবে না।

    ঘটনাটি ঠিক কী? পদ্মপাড়ে অশান্তি। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভারত-বিদ্বেষও! বিদ্বেষ এতটাই যে, বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গেটের ফেলে রাখা হয়েছে ভারতের জাতীয় পতাকা। আর সেই পতাকা মাড়িয়ে চলে যাচ্ছেন লোকজন। বেশ কিছু ছবি এখন রীতিমতো ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বস্তুত, ভারত বিরোধী এক মিছিল থেকে চার ঘণ্টার মধ্যে কলকাতা দখলের হুমকিও দিয়েছেন বাংলাদেশের এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা আধিকারিকরা। 

    এদিকে প্রতি বছরই শীতের মরসুমে সীমান্ত পেরিয়ে শিলিগুড়ি দিয়ে ভারতে আসেন ২৫ থেকে ৩০ হাজার বাংলাদেশে নাগরিক। শহর ও শহর লাগোয়া এলাকায় হোটেল ভাড়া দিয়ে থাকেন তাঁরা। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের নাগরিকদের আর ঘর ভাড়া দিতে রাজি নন হোটেল মালিকরা। বাংলাদেশীদের বয়কটের দাবিতে স্মারকলিপিও জমা দিয়েছিলেন তিনি। এরপর থেকে শুরু হয় জল্পনা। 

    গ্রেটার শিলিগুড়ি হোটেলিয়ার্স ওয়েলফেয়ার অ্য়াসোসিয়েশনের সম্পাদক উজ্জ্বল ঘোষ বলেন, 'বিভিন্ন সংগঠন স্মারকলিপি জমা দিয়েছে। কিন্তু সেটা বড় কথা নয়। যে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে গেলেই তার নিয়ম রয়েছে। সেই নিয়মেই ভোটাভুটি হয়  এবং প্রায় ৯৭ শতাংশ ভোট বাংলাদেশীদের বিপক্ষে পড়ে। সেকারণেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বাংলাদেশের কোনও পর্যটককে হোটেল দেব না এবং এটা যেন সবাই মেনে চলে। স্টুডেন্ট ভিসা ও চিকিত্‍সা সংক্রান্ত ভিসাতেও হোটেল মিলবে না'।

    হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক জানান, 'ভারতের জাতীয় পতাকার অবমাননা এবং ভারতের প্রতি কটুক্তির বিরোধিতা করেই এই সিদ্ধান্ত। তাঁদের লিখিত আকারে ক্ষমা চাইতে হবে। তারপরই আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত বদল করব'। ব্যবসায় ক্ষতি আশঙ্কা থাকলেও, হোটেল মালিকদের সিদ্ধান্তে একমত পর্যটন সংস্থাগুলি। ইস্টার্ন হিমালয়াম ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুর অপারেটরের সদস্য দেবাশীষ মৈত্র বলেন, 'আমাদের কাছে দেশ আগে। তাতে ব্যাবসার ক্ষতি হবে হোক। তারা যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা সঠিক৷ ব্যাবসা আগামীতে হবে, আগে আমার দেশ'।

    এদিকে বাংলাদেশে অশান্তিতে রীতিমতো আতঙ্কিত মালদহের হোটেল মালিকরা। এতটাই আতঙ্ক যে, বাংলাদেশের নাগরিকদের ঘর ভাড়া না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। হোটেল মালিকদের বক্তব্য, 'বাংলাদেশে নাগরিকরা যে বৈধ কাগজপত্র নিয়ে এদেশে আসছেন, তা বুঝব কী করে'!

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)