• সংকোশের চর যেন বালি মাফিয়াদের 'কারখানা'! প্রশাসনের নাকের ডগাতেই নিত্য নদীচুরি...
    ২৪ ঘন্টা | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • তপন দেব: বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যে নাজেহাল কুমারগ্রাম ব্লকের বিস্তিন্ন এলাকার বাসিন্দারা। সংকোশ নদীর চর যেন বালি মাফিয়াদের কারখানায় পরিণত হয়েছে। নিয়মিত চলছে বালি তোলা। কুমারগ্রামে এখন এটিই অলিখিত নিয়মে পরিণত হয়েছে।

    সকাল ৮ থেকে রাত ৮টা! সংকোশ নদীর চর বরাবর একের পর এক বড় বড় যন্ত্র লাগিয়ে সংকোশ নদীর চর থেকে তোলা হচ্ছে বালি ও পাথর। মাঝে মাঝে জেলা ভূমি রাজস্ব দফতর 'ওভারলোডিং' অপরাধে কিছু ডাম্পার ধরলেও আবার তা ফাঁক গলে বেরিয়েও যাচ্ছে। ফলে, একরকম প্রশাসনের নাকের ডগাতেই চলছে বেআইনি নদীচুরি! 

     

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, নদীর এই অবৈজ্ঞানিক খননে ফেব্রুয়ারি মাস পড়তেই কুমারগ্রামের পূর্বশালবাড়ি, ভল্কা, দেউতিখাতানের মতো গ্রামগুলিতে পানীয় জলের স্তর নেমে যাচ্ছে। এই ব্লকেই শাসকদল তৃণমুল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ প্রকাশ চিক বরাইকের বাড়ি। তাঁর এলাকায় দিনের আলোয় নদীচুরির ঘটনায় হতবাক অনেকেই। কোন ছত্রছায়ায় থেকে বালি মাফিয়ারা এত বেপরোয়া হয়ে উঠছেন, উঠছে প্রশ্ন।

    শাসকদলের জেলার চেয়ারম্যান গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, নিশ্চয়ই সরকারি অনুমতি রয়েছে, নচেৎ এত সাহস কারও নেই যে, দিনের আলোয় নদী থেকে বালি-পাথর চুরি হবে! বিরোধীরা বলছেন, শাসকদলের মদতেই এমনটা হচ্ছে। তবে বিজেপি বিধায়কের অভিযোগে গুরুত্ব দিতে রাজি নয় শাসকদলের চেয়ারম্যান।

    অসম-বাংলা সীমান্তের বারবিশা হাইওয়ের পাড় বরাবর সংকোশ নদীর বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে বালি মাফিয়াদের এক-একটি জটলা চোখে পড়বে, যেখানে খুল্লমখুল্লা ভাবে নদীর যত্রতত্র থেকে বড় বড় মেশিন লাগিয়ে তোলা হচ্ছে বালি ও পাথর। আর গ্রামের সাধারণ গরিবমানুষগুলির অভিযোগ, জেলা প্রশাসনের এই চোখ বুজে থাকার মাশুল দেন তাঁরাই।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)