কী ভাবে ধরা পড়ল এই শিকারিরা? তাদের পাখি শিকার করতে দেখে বন দফতর ও পুলিসকে খবর দেন এলাকার পরিবেশপ্রেমীরা। জানা গিয়েছে, ধৃত দুই যুবকের বাড়ি জলপাইগুড়ির পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ডেঙ্গুয়াঝাড় চা-বাগান সংলগ্ন পশ্চিম লাইন এলাকায়। ওই দুই যুবক জলপাইগুড়ি পাঙ্গা সাহেববাড়ি এলাকায় এসে একের পর এক পাখি শিকার করছিল। ওই সময় বিষয়টি লক্ষ্য করেন 'স্পোর' পরিবেশপ্রেমী সংস্থার সদস্য গুড্ডু সরকার। সঙ্গে সঙ্গে তিনি পুলিস ও বন দফতরকে খবর দেন।
তাঁর মারফত খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে জলপাইগুড়ি গরুমারা বন্যপ্রাণী বিভাগের বিট অফিসার ও কোতোয়ালি থানার পুলিস চলে আসেন ঘটনাস্থলে। এসেই তাঁরা ওই দুই যুবককে আটক করেন। শিকারিদের কাছ থেকে ৭টি মৃত পাখি ও পাখি শিকার করার বিভিন্ন যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়। পরিবেশপ্রেমী 'স্পোর' সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক অর্কপ্রভ মজুমদার জানান, মৃত যে পাখিগুলি উদ্ধার করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে তিনটি গুয়ে শালিক, একটি বড় কুবো, একটি বক, একটি ডাহুক ও একটি কোকিল।
শিকার করা সবগুলি পাখিই বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইন (১৯৭২)-এর আওতায় রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় সাধারণ পরিবেশপ্রেমী থেকে পরিবেশবিদ-- উদ্বিগ্ন সব পক্ষই।