• পরিযায়ী পাখির মরসুমেই পাখিহত্যা? ৭ মৃত পাখি ও অস্ত্রশস্ত্র-সহ বন দফতরের হাতে ধৃত দুই শিকারি...
    ২৪ ঘন্টা | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • প্রদ্যুৎ দাস: ব্যাধের হাতে পাখিহত্যা দেখে ভয়ংকর আহত হয়েছিলেন মহাকবি বাল্মীকি। তাঁর মুখ দিয়ে বেরিয়ে এসেছিল সেই বেদনার বহিঃপ্রকাশ-- ছন্দের আকারে- মা নিষাদ! সেই ছিল বিশ্বের প্রথম কাব্য, প্রথম শ্লোক। রামায়াণের যুগে আইন ছিল না। কিন্তু আধুনিক সময়ে তো বন্যপ্রাণ রক্ষায় তৈরি হয়েছে আইন। তবুও আজও থামেনি সেই নিষ্ঠুর ব্যাধের অপকর্ম। আজও চলছে পাখিশিকার। এবার বনকর্মীদের হাতে ধরা পড়ল‌ দুই পাখিশিকারি। তাদের কাছে তল্লাশি চালিয়ে ৭টি মৃত পাখি-সহ উদ্ধার হয়েছে অনেক যন্ত্রপাতি। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের পাঙ্গা সাহেববাড়ি‌ এলাকায়। 

    কী ভাবে ধরা পড়ল এই শিকারিরা? তাদের পাখি শিকার করতে দেখে বন দফতর ও পুলিসকে খবর দেন এলাকার পরিবেশপ্রেমীরা। জানা গিয়েছে, ধৃত দুই যুবকের বাড়ি জলপাইগুড়ির পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ডেঙ্গুয়াঝাড় চা-বাগান‌ সংলগ্ন পশ্চিম লাইন এলাকায়। ওই দুই যুবক জলপাইগুড়ি পাঙ্গা সাহেববাড়ি‌ এলাকায় এসে একের পর এক পাখি শিকার করছিল। ওই সময় বিষয়টি লক্ষ্য করেন 'স্পোর' পরিবেশপ্রেমী সংস্থার সদস্য গুড্ডু সরকার। সঙ্গে সঙ্গে তিনি পুলিস ও বন দফতরকে খবর দেন। 

    তাঁর মারফত খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে জলপাইগুড়ি গরুমারা বন্যপ্রাণী বিভাগের বিট অফিসার ও কোতোয়ালি থানার পুলিস চলে আসেন ঘটনাস্থলে। এসেই তাঁরা ওই দুই যুবককে আটক করেন। শিকারিদের কাছ থেকে ৭টি মৃত পাখি ও পাখি শিকার করার বিভিন্ন যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়। পরিবেশপ্রেমী 'স্পোর' সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক অর্কপ্রভ মজুমদার জানান, মৃত যে পাখিগুলি উদ্ধার করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে তিনটি গুয়ে শালিক, একটি বড় কুবো, একটি বক, একটি ডাহুক ও একটি কোকিল।

    শিকার করা সবগুলি পাখিই বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইন (১৯৭২)-এর আওতায় রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় সাধারণ পরিবেশপ্রেমী থেকে পরিবেশবিদ-- উদ্বিগ্ন সব পক্ষই।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)