উল্লেখ্য, গতকালই বাংলাদেশের এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্তা হুমিক দিয়েছেন, চার ঘণ্টার মধ্য কলকাতা দখল করে নেব। তাঁর ওই কথায় সোশ্য়াল মিডিয়ায় কম হাসাহাসি হয়নি। কিন্তু তাতেই থেমে থাকেননি বাংলাদেশের রাজনীতিবিদরা। গতকালই বিএনপি নেতা রুহুল কবীর রিজভি বলেন, ভারতীয়দের আচরণ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে তারা চট্টগ্রামকে ভারতের অংশ বলে দাবি করবে বলেছে। তারুণ্যের শক্তি নিয়ে আমরাও তবে বলব, তোমরা যদি চট্টগ্রাম দাবি করতে পারো তাহলে আমরাও দাবি করব আমাদেরকে আমাদের নবাব সিরাজুদ্দৌলার বাংলা-বিহার-ওড়িশা ফেরত দাও।
সোমবার বিধানসভায় বাংলাদেশ নিয়ে বলতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কেউ এখানে আসতে চাইলে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। যারা এটা নিয়ে রাজনীতি করছেন তাদের বলছি এতে আপনাদের ক্ষতি। আমরা এখানে কোনও দাঙ্গা চাই না। অনেক ফেক ভিডিয়ো এখানে চলছে। বিদেশ সচিব গিয়েছেন। তাঁকে বিষয়টি দেখতে দিন। যারা বাংলা-বিহার দখল করতে চায় তাদের বলছি, এত হিম্মত কারও নেই।
বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে বলতে গিয়ে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, বাংলাদেশে হিন্দুরা মার খাচ্ছে আর এখানে বিজেপি রাজনীতি করছে।
রাজ্যের মানুষকে সতর্ক করে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে অনেক ফেক ভিডিয়ো ছড়াচ্ছে। কেউ কেউ বাংলাদেশ নিয়ে অন্যরকম পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছেন। এরকম প্ররোচনায় কেউ যেন পা না দেন। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপরে যে অত্য়াচার চলছে তা দেখে ভালো লাগছে না। আমরা যেন এমন কোনও মন্তব্য না করি যাতে বাংলার পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যায়। বাংলায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির একটা নিদর্শন রয়েছে। তা যেন নষ্ট না হয়। দাঙ্গা চাই না শান্তি চাই। আমরা সবাইকে নিয়ে থাকতে চাই। অনেকে ওপার থেকে এপারে আসতে চাইছেন। সীমান্তে তাদের আটকে দিচ্ছে বিএসএফ। অনেকে বলছে ওরা বিহার দখল করে নেবে। যারা দখল করার কথা বলছেন তাদের হিম্মত থাকলে তা করুন। আপনারা দখল করতে আসবেন আর আমরা বসে বলে ললিপপ খাব?