বিএসএফ সূত্রের খবর, গোয়েন্দা বিভাগের কাছে রানাঘাট ও গেদে সীমান্ত এলাকা দিয়ে বিপুল পরিমাণ সোনা পাচারের নির্দিষ্ট খবর ছিল। সেই তথ্যের ভিত্তিতে পুট্টিখালি বর্ডার আউটপোস্টে জওয়ানেরা সীমান্ত এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে ১২টি সোনার বিস্কুট, ২টি সোনার ‘ইট’ পাওয়া গিয়েছে। তিন স্কুটি আরোহীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের তল্লাশি চালিয়ে যে সোনা বাজেয়াপ্ত হয়েছে, তার ওজন এক কেজি ৬৭০ গ্রাম। পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ করতে মাজদিয়া শুল্ক বিভাগের কাছে ধৃতদের হস্তান্তর করেছে বিএসএফ। উদ্ধার হওয়া সোনাও তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
বিএসএফ সূত্রে খবর, মাজদিয়া-গাংনা রোডে সোনা পাচারের নির্দিষ্ট খবর পেয়ে প্রত্যেকটি গাড়িতে তল্লাশি শুরু করেছিল বিএসএফ। সেই সময় স্কুটি নিয়ে দু’জনের ‘সন্দেহজনক গতিবিধি’ নজর এড়ায়নি জওয়ানদের। চালকদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বিএসএফ জানতে পারে, গেদে থেকে এক ব্যক্তি একটি সোনার চালান নিয়ে দুই স্কুটি চালককে দিতে আসছে। তার কিছু ক্ষণের মধ্যেই রাস্তায় উপস্থিত হয় আর একটি স্কুটি। ওই স্কুটিটিকে দাঁড় করিয়ে তল্লাশি চালাতেই তিনটি কালো প্লাস্টিকের প্যাকেটে মোড়া ১২টি সোনার বিস্কুট, দুটি সোনার ‘ইট’ উদ্ধার হয়। এর পর তিন জনকে গ্রেফতার করে বিএসএফ।
জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতেরা জানিয়েছেন, গেদে সীমান্ত এলাকার এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে সোনা নিয়ে রানাঘাটে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ জন্য তাঁদের ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতিও পান। যদিও সোনা নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছনোর আগেই রানাঘাট থানা এলাকাতেই পাকড়াও হয়েছেন তিন জন। বিএসএফের এক জনসংযোগ আধিকারিক বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তিন জনকে ধরা হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ সোনা উদ্ধার হয়েছে। জওয়ানদের তৎপরতায় পাচার আটকে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।’’