পুলিস সূত্রে খবর, রবিবার রাতে তীব্র বিস্ফোরণ ঘটে মুর্শিদাবাদের সাগরপাড়া থানার খয়ের তলা গ্রামে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, একটি পাকাবাড়ির ছাদ ভেঙে যায়। স্থানীয়দের অবশ্য দাবি, বিস্ফোরণের শব্দে ভেঙে যায় জানলার কাঁচ। ঘটনাস্থলে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ৩ জনকে পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। ওই ৩ জনের মধ্যে একজনের ঘটনাস্থলেই, আর বাকি দু'জনের মৃত্যু হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে। কীভাবে বিস্ফোরণ? প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, যে ঘরে বিস্ফোরণ ঘটেছে, সেই ঘরে বসেই বোমা বাঁধছিলেন ওই ৩ জন।
এক্স হ্যান্ডেলে সুকান্ত লিখেছেন, 'বোমা তৈরির অবৈধ কারবার চালাতে গিয়ে গতকাল রাতে মুর্শিদাবাদে বিরাট বিস্ফোরণে উড়ে গেল একটি বাড়ির চাল। ঘটনায় অবশ্য ৩ জন কুখ্যাত দুষ্কৃতীরও প্রাণ গিয়েছে। বিস্ফোরণের তীব্রতায় আশেপাশের বাড়িগুলিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অথচ হাস্যকর বিষয় এটাই, দীর্ঘদিন ধরে বোমা তৈরির কুটির শিল্প ওই জায়গায় চললেও পুলিশের কাছে কোনও খবরই ছিল না'! সঙ্গে কটাক্ষ, রাজ্যে শিল্প টিকছে না বলেই কি বোমা শিল্পের অবৈধ স্বীকৃতি দিতে পুলিস এখন থেকে দুষ্কৃতীদের প্রয়োজনীয় ছাড়পত্রও দিচ্ছে'?
এদিকে স্রেফ মুখ্যমন্ত্রী নয়, রাজ্য়ের পুলিসমন্ত্রীও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি তাঁর নির্দেশেই বড়সড় রদবদল ঘটে গিয়েছে রাজ্য় পুলিসে। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে গোয়েন্দা প্রধান রাজাশেখরনকে। কেন? কসবায় তৃণমূল কাউন্সিলরকে লক্ষ্য করে গুলিকাণ্ডের পর থেকে পুলিসের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন ফিরহাদ হাকিম, সৌগত রায়ের মতো তৃণমূলের সাংসদ মন্ত্রীরাই। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল।