• বিরল রোগে আক্রান্ত শিশুকে বাঁচাতে প্রয়োজন ১৬ কোটি 
    বর্তমান | ১০ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, রানাঘাট: ফুটফুটে একরত্তি শিশু। বয়স ১১মাস। কিন্তু বিশ্বের অন্যতম জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে তার বৃদ্ধি থমকে গিয়েছে। চিকিৎসার জন্য দরকার প্রায় ১৬ কোটি টাকা! নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে ঘটিবাটি বিক্রি করেও যা জোগাড় করা সম্ভব নয়। চিকিৎসার জন্য হাতে সময়ও রয়েছে আর মাত্র সাতমাস। রানাঘাটের ছোট্ট অস্মিকাকে সুস্থ করতে সরকারি ও সহৃদয় মানুষের সাহায্যের আর্জি জানিয়েছে তার পরিবার। রানাঘাট স্টেশনের কাছে স্বামী বিবেকানন্দ সরণির দাসপাড়ার বাসিন্দা শুভঙ্কর দাস ও লক্ষ্মী দাস। এবছর জানুয়ারি মাসে এই দম্পতির ঘর আলো করে জন্ম হয় ছোট্ট অস্মিকার। বাবা-মা সহ পুরো পরিবারের বড্ড আদরের মেয়ে সে। কিন্তু তার বয়স যখন চারমাস, তখনই পরিবারের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। চিকিৎসকরা জানান, বিরল রোগে আক্রান্ত অস্মিকা। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এর নাম ‘স্পাইনাল মাসকিউলার অ্যাট্রফি’। এই রোগের টাইপ-ওয়ানে আক্রান্ত ওই শিশুকন্যা। এই জটিল রোগে শরীরের নির্দিষ্ট কিছু বৃদ্ধি থমকে যায়। ‘জোলজেন্সমা’ নামে একটি বিশেষ ইনজেকশন দিয়ে এই রোগের উপশম সম্ভব। কিন্তু তা সুদূর আমেরিকা থেকে আমদানি করতে হবে। সামগ্রিক চিকিৎসায় খরচ পড়বে প্রায় ১৬ কোটি টাকা। এরই মাঝে চাকরি গিয়েছে শুভঙ্করবাবুর। দু’বেলা বাড়িতে হাঁড়ি চড়া মুশকিল হয়ে পড়েছে। মেয়ের চিকিৎসার খরচ জোগাতে ওই দম্পতি প্রশাসন সহ বিভিন্ন মহলে হাত পেতেছেন। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। রানাঘাটের বেশ কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সমাজকর্মীরাও সাহায্য করেছেন। টানা ১১৭দিন ধরে ‘ক্রাউড ফান্ডিং’ করে ঝুলিতে জমা পড়েছে ২ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা। কিন্তু এখনও যে অনেক টাকা বাকি। কীভাবে সময়ের মধ্যে বাকি টাকা জোগাড় হবে, তা নিয়ে চিন্তায় ফুটফুটে শিশুটির পরিবার। অস্মিকার বাবা শুভঙ্কর দাস বলেন, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মেয়ের দেড় বছর বয়সের মধ্যে ওই ইনজেকশন দিতে হবে। এখন মেয়ের বয়স ১১ মাস। অর্থাৎ হাতে রয়েছে মাত্র সাতমাস। আমরা মেয়ের চিকিৎসার জন্য সবার কাছে সাহায্য চাইছি। নবান্নে গিয়েও সাহায্য চেয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী যদি এগিয়ে আসেন, তাহলে মেয়ের চিকিৎসা হবে।        নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)