• মিলের কর্মী নেই, দিনভর ঠান্ডায় অপেক্ষার পর ফিরে ক্ষুব্ধ চাষিরা
    বর্তমান | ১০ ডিসেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, চাঁচল: ঘন কুয়াশার জন্য সোমবার সারাদিন সূর্যের মুখ দেখা যায়নি মালদহের চাঁচলে। সকাল থেকে ঠান্ডায় জবুথবু অবস্থা। রাস্তায় তেমন মানুষজনের দেখা মেলেনি। আর এই আবহাওয়াতেই খোলা আকাশের নীচে সারাদিন দাঁড়িয়ে থেকেও শিবিরে সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করতে পারলেন না চাষিরা। দিনভর হয়রানির পর ক্ষোভ ছড়ায় চাষিদের মধ্যে।


    স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহের চাঁচল ২ ব্লকের চন্দ্রপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের গোয়ালপাড়ায় ধান কেনার শিবির হওয়ার কথা ছিল সোমবার। এদিন সকালে সময়মতো স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা উপস্থিত হন। একে একে চাষিরা গাড়িতে করে ধান নিয়ে আসেন শিবিরে। 


    গাড়ি থেকে ধান নামিয়েও দেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা গড়ালেও মিল কর্তৃপক্ষ আসেনি বলে অভিযোগ। যা নিয়ে ক্ষোভ ছড়ায় চাষিদের মধ্যে। রাত হয়ে যাওয়ায় বাড়তি খরচে গাড়ি ভাড়া করে ফের ধান বাড়ি নিয়ে যান চাষিরা। আবার একাধিক চাষি খোলা আকাশের নীচেই পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেন ধান।


    চাষি আসগর আলির অভিযোগ, ধান বিক্রি করার জন্য সরকারি পোর্টালে নথিভুক্ত করতে হিমশিম খেতে হয়। এদিন নির্দিষ্ট সময় দেওয়া হলেও ধান কেনা হল না। এরকম হয়রানি হলে আর আসব না সরকারি শিবিরে। নিতাই মণ্ডলের কথায়, গাড়ি ভাড়া করে ধান নিয়ে এসেছিলাম। রাস্তা খারাপের জন্য ভাড়াও বেশি। সেই ধান ফিরিয়ে নিয়ে গেলে লোকসান হবে। চাষিদের হয়রানি নিয়ে সোচ্চার হন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য লতেজা খাতুন। প্রশাসনের বিরুদ্ধে খামখেয়ালিপনার অভিযোগ করেন তিনি। এদিন রাত হয়ে গেলেও ধান আর কেনা হয়নি। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সেখানে আবার শিবির করা হবে। চাঁচল-২ এর বিডিও শান্তনু চক্রবর্তী বলেন, শীতে ধান যাতে নষ্ট না হয় সেজন্য স্কুলে রাখা হয়েছে। পুলিস পাহারায় রয়েছে। কিছু ভুল বোঝাবুঝির জন্য এমনটা হয়েছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
  • Link to this news (বর্তমান)