সংবাদদাতা, বোলপুর: শীতকাল মানেই রংবেরঙের ফুলের মরশুম। তাই শীত পড়তেই শান্তিনিকেতনের নার্সারিগুলিতে ভিড় বাড়ছে ফুলপ্রেমীদের। তবে এ বছর বেশ চড়া দামে বিকোচ্ছে দেশি-বিদেশি ফুলের চারা। তাতে অবশ্য বিক্রিতে ভাটা পড়েনি। বরং এবারে ভিড় একটু বেশিই। দেশি চন্দ্রমল্লিকা, গাঁদার পাশাপাশি পিটুনিয়া, গ্যাজানিয়া, অ্যাস্টার, সিনেরারিয়ার মত বিদেশি ফুলের চারা কিনতে নার্সারিতে ভিড় ফুলপ্রেমীদের। ফুলচাষি ও চারা বিক্রেতাদেরও পোয়াবারো।
গত বছর সবথেকে ছোট চারা বিক্রি হয়েছে তিন থেকে চার টাকায়, সেগুলির দাম এ বছর ছ’ টাকা থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত। দেশি ফুলের মধ্যে হলুদ ও কমলা গাঁদার চারা গতবছর ৫ টাকায় বিক্রি হলেও এবছর সাদা গাঁদার দাম ১২ টাকা। একটু বড় আকারের চন্দ্রমল্লিকা বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২৫ টাকা পিস হিসেবে। এছাড়া বিদেশি ফুলের মধ্যে পিটুনিয়ার বিভিন্ন প্রজাতি ও ইম্প্রেশনের দাম ঘোরাফেরা করছে আট থেকে ১০ টাকার মধ্যে। গ্যাজেনিয়া, অ্যাস্টার, ক্যালেন্ডুলার কচি চারা বিক্রি হচ্ছে পাঁচ থেকে সাত টাকার দরে। এছাড়া প্যাঞ্জি, অ্যালিসাম, টোরেনিয়া, ডায়ান্থাসের প্রতিটি চারার দাম ছ’ থেকে ১০ টাকার মধ্যে রয়েছে। অর্থাৎ ছোট আকারের বাগান করতে গেলেও শুধুমাত্র চারা কিনতেই ন্যূনতম খরচ এক থেকে দুই হাজার টাকা। এরপরে বিভিন্ন ধরনের জৈব সার, গোবর সার, খোল, ওষুধ, রাসায়নিক স্প্রের খরচ তো রয়েছেই। ছাদ বাগানের ক্ষেত্রে বাড়তি খরচ হিসেবে রয়েছে টবের দাম। কিন্তু তারপরেও শান্তিনিকেতনের ফুলপ্রেমীদের উৎসাহে ভাটা পড়েনি। বরং প্রতিদিনই নার্সারিতে রংবেরঙের দেশি-বিদেশি ফুলের চারা কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন স্থানীয়রা।
বাগানপ্রেমীদের মধ্যে মৈত্রেয়ী দালাল, লিপিকা মণ্ডল বলেন, সারা বছর বাগান চর্চা করলেও শীতকাল এলে আলাদা উন্মাদনা জাগে। কারণ এই সময়ে নানারকমের ফুল পাওয়া যায়। দীর্ঘ পরিচর্যার পর যখন ফুল ফোটে তখন খুব আনন্দ হয়। অন্যান্য বারের থেকে এবার দামটা একটু হলেও বেশি। তবুও ফুল ভালোবাসি বলে এটুকু ‘ম্যানেজ’ করতে হচ্ছে।