• প্রশাসনের চোখ এড়িয়েই মালদহে চলছে বাল্যবিবাহ
    বর্তমান | ১০ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহ: এ যেন বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো! প্রশাসনিক বিধিনিষেধের চোখ এড়িয়ে মালদহ জেলায় অব্যাহত বাল্যবিবাহ। সোমবার জেলা প্রশাসনিক ভবনে বৈঠকে এনিয়ে রীতিমতো উষ্মা প্রকাশ করেন আধিকারিকরা। বৈঠকে জেলায় বাল্যবিবাহ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের (জেজেবি) প্রিন্সিপাল ম্যাজিস্ট্রেট। এদিন তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, এখানে পকসো মামলা খুব বেশি হয়। এটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। বাল্যবিবাহ খুব বেড়ে গিয়েছে। বাল্যবিবাহের পুরানো মামলা প্রচুর। বাল্যবিবাহ নিয়ন্ত্রণ করতে সচেতনতায় জোর দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, কালিয়াচক রতুয়া ইংলিশবাজারে বাল্যবিবাহের প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছে। প্রশাসনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এবছর জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত জেলায় দুই শতাধিক বাল্যবিবাহের খবর এসেছে। যদিও এক্ষেত্রে বহু বিয়ে আটকে দিয়েছে প্রশাসন। শিশুসুরক্ষা দপ্তরের খেল ফ্রি নম্বর ১০৯৮ - এ এবছর ১১ মাসে মোট ২৫৬টি বাল্যবিবাহের খবর এসেছে। যদিও এরমধ্যে ২১৩টি বিয়ের খবর সঠিক ছিল। বিয়ের আগেই মেয়েদের উদ্ধার করে ১৮৭টি বিয়ে রুখে দিয়েছে প্রশাসন। সময়মতো খবর না পাওয়ায় আটকানো সম্ভব হয়নি ২৬টি বিয়ে। মালদহ জেলা সমাজকল্যাণ দপ্তরের আধিকারিক আলপনা দাস বলেন, মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। সেজন্য প্রত্যেকটি স্কুলে সচেতনতামূলক প্রচার করতে হবে। 


    প্রশাসন জানিয়েছে, বাল্যবিবাহ রুখতে ইতিমধ্যেই গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ব্লক স্তরে সচেতনতামূলক বৈঠকের জন্য ক্যালেন্ডার তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। সেজন্য গুগল শিট তৈরি করে সেখানে রিপোর্ট করতে করতে বলা হয়েছে। যদিও এখনও কোনও রিপোর্ট সেখানে জমা হয়নি। যার ফলে কোন কোন গ্রাম পঞ্চায়েতে বৈঠক হচ্ছে তা জানা সম্ভব হচ্ছে না। বহু ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে আইসিডিএস এবং স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্মীরা নিজেদের মধ্যে রিপোর্ট আদান প্রদান করছেন। পঞ্চায়েত সদস্যরা সেখানে না থাকায় বৈঠক করা সম্ভব হচ্ছে না। সমস্ত রকমের ব্যবস্থাপনা থাকলেও তৃণমূল স্তরের কর্মীদের মধ্যে কাজে অনীহা লক্ষ্য করা গিয়েছে।  বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা। মালদহ জেলা প্রশাসনিক ভবনে তোলা নিজস্ব চিত্র  
  • Link to this news (বর্তমান)