• পিবিইউ-এনবিডিডির টানাপোড়েন, উদ্বোধনের আট মাস পরেও চালু হল না প্রশাসনিক ভবন 
    বর্তমান | ১০ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের টানাপোড়েনের মাঝে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভবন কোনও কাজেই আসছে না। আট মাস ধরে বিশাল ভবনটি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। কোচবিহারের পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিক সামনে বিরাট ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। 


    চলতি বছরের প্রথমদিকে ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হয়। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহর উপস্থিতিতে নয়া ভবনের দ্বারদ্ঘাটন হয় মার্চ মাসে। উদ্বোধনের দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিখিলচন্দ্র রায় আসেননি। ওই দিন থেকেই ভবন নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। পরবর্তীতে ভবনটিতে কাজ চালুই করা হয়নি। পিবিইউ কর্তৃপক্ষের দাবি, এনবিডিডি ভবন তৈরি করলেও ভিতরে কিছু পরিবর্তন করার কথা বলা হয়েছিল। সেই কাজ হয়নি। শুধু তাই নয়, ভবন বিশ্ববিদ্যালয়কে হস্তান্তরও করা হয়নি। যদিও মন্ত্রীর সাফ দাবি, ভবন নির্মাণ করার পর উদ্বোধন হয়েছে। এনবিডিডির পক্ষ থেকে উপাচার্যকে চিঠিও করা হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও ভবনটি তারা ব্যবহার করছে না। 


    পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিখিলচন্দ্র রায় বলেন, আমার অনুমতি না নিয়েই আমার নাম ওই সময় আমন্ত্রণপত্রে ছাপা হয়েছিল। তাছাড়া ওই ভবনে আমাদের কিছু কিছু কাজের প্রয়োজন ছিল। সেটা এনবিডিডি’কে জানানো হয়েছিল। পিবিইউর দায়িত্বপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার দিলীপ দেবনাথ বলেন, আমরা ভবনটি হস্তান্তর করার জন্য বলেছি। গত অক্টোবর মাসের শেষে এটা এনবিডিডি’কে বলা হয়েছে। এরপর ওই দপ্তর থেকে কোনও চিঠি এখনও পাইনি। কিছু অভ্যন্তরীণ পরিবর্তন করার কথা উপাচার্য বলেছিলেন। সেটাও এখনও হয়নি। সেগুলি করা হবে কি না তা বোঝা যাচ্ছে না। আমাদের কাছে সরকারিভাবে ভবন হস্তান্তর করা হয়নি। আমরা আবার এ বিষয়ে এনবিডিডি’কে চিঠি করব। 


    উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, লোকসভা নির্বাচনের আগে পিবিইউর ওই নতুন ভবনের উদ্বোধন করা হয়েছিল। দপ্তরের পক্ষ থেকে চিঠি করা হয়েছিল। তারপরেও উপাচার্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি। তাদের জন্যই তো কোটি টাকা ব্যয়ে ভবনটি করা হয়েছে। তাহলে ওরা আগেই বলে দিতে পারত এটা ওরা চায় না। জটিলতা তৈরির একটা চেষ্টা করা হচ্ছে। পরিকল্পনা অনুসারেই কাজ হয়েছে। কি পরিবর্তন হবে সেটা তো ওরাই করে নেবে। 


    এনবিডিডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭-’১৮ সালে নির্মাণ কাজটি শুরু করা হয়েছিল। ভবনের কাজ ধীর গতিতে চলছে বলে মাঝে অভিযোগ উঠেছিল। পরে করোনার সময়ও কাজে বিলম্ব হয়। শেষ পর্যন্ত দেরিতে হলেও নির্মাণ কাজ শেষ হয়। পরবর্তীতে এ বছরের মার্চ মাসে নয়া ভবনটির উদ্বোধন করা হয়েছিল। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থান সঙ্কুলানের সমস্যা রয়েছে। ভবনটিতে কাজকর্ম চালু হলে সেই সমস্যার সমাধান হবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।  নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)