• শিলিগুড়িতে ভিড় রাস্তায় ছুরি হাতে দাদাগিরি টোটোচালকের
    বর্তমান | ১০ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: টোটোচালকের ‘দাদাগিরি’! অভিযোগ, রাস্তায় সাইড দেওয়া নিয়ে বিরোধের জেরে বাইক আরোহীকে ছুরি হাতে শাসায় টোটোচালক। সোমবার দুপুরে ঘটনাটি শিলিগুড়ি শহরের সেভক মোড়ের। এনিয়ে জনবহুল সংশ্লিষ্ট এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। ট্রাফিক পুলিস অভিযুক্তকে আটক করে পরিস্থিতি সামাল দেয়। 


    শিলিগুড়ির ডেপুটি পুলিস কমিশনার (ট্রাফিক) বিশ্বচাঁদ ঠাকুর বলেন, অভিযুক্ত টোটোচালককে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইন অনুসারে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে শহরে ট্রাফিক পুলিস এখন সক্রিয়। যানবাহন নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বেআইনি কাজের বিরুদ্ধেও নিজেদের দায়িত্ব পালন করছেন কর্মীরা। এদিনের ঘটনা থেকেই তা স্পষ্ট। 


    এদিন দুপুরে ব্যস্ত সেভক মোড়ে টোটোচালকের দাদাগিরি ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনাস্থলে দু’পাশে যানবাহনের লম্বা লাইন পড়ে যায়। বেশ কিছুক্ষণ সেখানে তীব্র যানজট ছিল। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সেভক রোড থেকে হিলকার্ট রোডে ওঠার চেষ্টা করছিল টোটোটি। উল্টো দিক থেকে সেখানে আসে একটি বাইক। সাইড দেওয়া নিয়ে বাইক আরোহীর সঙ্গে বচসা বাধে টোটোচালকের। এক-দু’কথায় উত্তেজিত হয়ে টোটোচালক সিটের নীচ থেকে ছুরি বের করে বাইক আরোহীর দিকে তেড়ে যান বলে অভিযোগ। সেই সময় বাইক আরোহী পালিয়ে গেলেও অভিযুক্তকে ধরেন পথচারী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কয়েকজন। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত টোটোচালককে আটক করে ট্রাফিক পুলিস। 


    সেভক মোড় ট্রাফিক পোস্টের পুলিস অফিসাররা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত টোটোচালকের বাড়ি ভক্তিনগর এলাকায়। টোটো সহ অভিযুক্তকে শিলিগুড়ি থানার পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে যা করার থানা করবে। 


    শহরের ব্যস্ততম মোড়গুলির মধ্যে সেভক মোড় অন্যতম। যার নাম গুরুনানক চক। সেখানে হিলকার্ট রোডের সঙ্গে মিলিছে সেভক রোড ও বর্ধমান রোডের সংযোগকারী রাস্তা। সংশ্লিষ্ট এলাকার পাশেই হিলকার্ট রোড মার্কেট, শেঠ শ্রীলাল মার্কেট, বিবেকানন্দ মার্কেট প্রভৃতি। সংশ্লিষ্ট এলাকা পানিট্যাঙ্কি ট্রাফিক গার্ডের অধীনে। সেখানে একটি ট্রাফিক পোস্ট রয়েছে। ট্রাফিক পোস্টের কাছে জনবহুল এলাকায় টোটোচালকের দাদাগিরি নিয়ে স্থানীয়রা রীতিমতো আতঙ্কিত। স্থানীয়দের একাংশ বলেন, সামান্য তর্ক-বিতর্কের জেরে টোটোচালক ছুরি বের করবে, তা অকল্পনীয়। ঘটনায় জড়িত টোটোচালকের কড়া শাস্তি হওয়া উচিত। এক্ষেত্রে ট্রাফিক পুলিসের ভূমিকা প্রশংসনীয়। পুলিস দ্রুত হস্তক্ষেপ করায় ঘটনাটি সেভাবে ছড়ায়নি। 


    শহরে টোটোর বেপরোয়া দাপট অনেকদিনের। এমন প্রেক্ষাপটে সংশ্লিষ্ট ঘটনা ঘটায় টোটোচালকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মহল ক্ষুব্ধ। শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি ই-রিকশ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুদীপ ঘোষ অবশ্য বলেন, ওই ঘটনা জানা নেই। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নেব। তবে কোনও টোটোচালক যদি এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকেন, সেব্যাপারে আইন আইনের পথে চলবে।
  • Link to this news (বর্তমান)