ফের অশান্তির ছক, রাজ্যভাগের দাবিতে কেএলও চিফ জীবনের ছবি নিয়ে মিছিল
বর্তমান | ১০ ডিসেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: কেএলও চিফ জীবন সিংহের ছবি সহ শ’য়ে শ’য়ে প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে মিছিল হল কোচবিহারে। দাবি, কেএলও সুপ্রিমো জীবন সিংহ ও কেএলও (কেএন) প্রধান ডি এল কোচের সঙ্গে দ্রুত শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্যে দিয়ে গ্রেটার কোচবিহার/ কামতাপুর রাজ্য পুনর্গঠন। একইসঙ্গে ভাষা ও তফসিলির মর্যাদা প্রদানের দাবিও জানানো হয়।
গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের একটি গোষ্ঠী ও কামতাপুর স্টেট ডিমান্ড কাউন্সিলের যৌথ উদ্যোগে সোমবার কোচবিহারে মিছিল, গণ স্মারকলিপি ও বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। মিছিলে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা ও নিম্ন অসমের বিস্তীর্ণ এলাকা থেকে গ্রেটার সমর্থকরা অংশ নিয়েছিলেন। একই দাবির সমর্থক আরও কিছু শাখা সংগঠনও মিছিলে শামিল হয়েছিল।
পৃথক রাজ্যের দাবিতে জিসিপিএ’র আন্দোলন নতুন কোনও বিষয় নয়। সংগঠনের বেশ কয়েকটি গোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরেই এই দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। কেএলও চিফ জীবন সিংহের ভিডিও বার্তা মাঝেমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। তিনি কোথায় আছেন তাও স্পষ্ট নয়। এদিকে, মাস কয়েক আগে পৃথক রাজ্যের দাবিতে কামতাপুর স্টেট ডিমান্ড কাউন্সিল গঠিত হয়েছে। বেশ কয়েকটি সংগঠন তাতে শামিলও হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে জীবনের ছবি সহ কোচবিহারের রাজপথে ওই দুই সংগঠনের মিছিল যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
এদিন সকাল থেকেই বাসে, গাড়িতে চেপে জিসিপিএ সমর্থকরা রাসমেলা ময়দানে জড়ো হন। বেলা যত বেড়েছে, ভিড়ও ততই বেড়েছে। দুপুরে মিছিল বের হয়। শহর পরিক্রমা করে মিছিল কোচবিহারের জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে পৌঁছয়। কয়েক হাজার সমর্থক সেই মিছিলে শামিল হয়েছিলেন। পুলিসি নিরাপত্তাও ছিল চোখে পড়ার মতো। বিরাট জমায়েত করে মিছিল করার ফলে শহরের একাংশে ব্যাপক যানজট হয়। মিছিল শেষে সংগঠনের নেতৃত্ব অতিরিক্ত জেলাশাসকের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্মারকলিপি পাঠায়।
গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অমল দাস বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরেই আলাদা কোচবিহার রাজ্যের কথা বলে আসছি। কিন্তু রাজ্য ও কেন্দ্র কোনও সরকারই কথা শোনেনি। কোচবিহারের ভারতভুক্তি চুক্তি মোতাবেক তা রূপায়ণের কথা কেউই শুনছে না।
তাঁর সংযোজন, আমাদের রাজ্য পুনরায় ফিরিয়ে না দিলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে এবার বাধ্য হব। কেএসডিসি ও গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে প্রাক্তন কেএলও জীবন সিংহের ছবি বুকে নিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছে। তাঁকে যখন সারেন্ডার করানো হয়েছে তখন অবশ্যই তাঁকে এক্স কেএলও বলা হবে। দ্রুত দাবি পূরণ না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব। এই দাবিতে সকলে একসঙ্গে হয়ে তীব্র আন্দোলন হতে পারে। আমরা এদিন স্মারকলিপি দিয়ে সেই কথাই জানিয়েছি।