কিছু গ্রাহক রেশনের পণ্য খোলা বাজারে বেচে দিচ্ছেন: খাদ্যমন্ত্রী
বর্তমান | ১০ ডিসেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রেশন গ্রাহকদের কেউ কেউ তাঁদের প্রাপ্ত খাদ্য সামগ্রী খোলাবাজারে বিক্রি করছেন। সোমবার বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ জানিয়েছেন, খাদ্যের প্রয়োজন নেই বা প্রয়োজনের থেকে বেশি খাদ্য পান এমন গ্রাহকরাই এটা করছেন। তবে রেশন গ্রাহকদের নতুন করে ‘স্ক্রিনিং’ করার বিষয়টি খাদ্যদপ্তরের বিবেচনা করছে না। কারণ কেন্দ্রীয় সরকার থেকে এব্যাপারে কোনও নির্দেশিকা আসেনি। প্রশ্নোত্তর পর্বে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক কালীপদ মণ্ডল রেশনে সরবরাহ করা আটা বাইরে পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন। এরপর রেশন গ্রাহকদের ‘স্ক্রিনিং’করা হবে কি না সেই ব্যাপারে প্রশ্ন ওঠে। খাদ্যমন্ত্রী জবাবে আরও বলেন, গ্রাহকদের আধার নম্বর যাচাই করে এখন রেশনের খাদ্য দেওয়া হয়। ৯৮ শতাংশের বেশি রেশন গ্রাহকের আধার নম্বর যুক্ত আছে। ৯৯ শতাংশের বেশি লেনদেন আধার ভিত্তিক হয়। রেশন বণ্টন ব্যবস্থা ডিজিটাল হওয়ায় রেশনের খাদ্য বাইরে যাওয়া কমানো সম্ভব হয়েছে। একটি সংস্থার রিপোর্ট উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, পশ্চিমবঙ্গে মাত্র ৯ শতাংশ রেশনের খাদ্য বাইরে যায় বলে এখানে বলা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে তা ৩৩ শতাংশ, বিহারে ১৯ শতাংশ। প্রশ্নোত্তর পর্বে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক অপূর্ব সরকার অভিযোগ করেন, একই পরিবারের সাতজন রেশন ডিলারশিপ পেয়েছেন। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রেশন ডিস্ট্রিবিউটরশিপ দেওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ তাঁর কাছে এসেছে। খাদ্যমন্ত্রী বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন।
বিধানসভার উল্লেখ পর্বে অশোক দিন্ডা অভিযোগ করেন, রাজ্যে ক্রীড়া পরিকামো উন্নয়ন খাতে কেন্দ্রীয় সরকার ৫০ কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দ করলেও তা কাজে লাগানো হয়নি। স্পিকার এই অভিযোগ সংক্রান্ত নথি বিজেপি বিধায়ককে সভায় পেশ করার নির্দেশ দেন। বিধায়ক একটি কাগজ স্পিকারকে দিয়ে আসেন। স্পিকার বলেন, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে তিনি পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন। পরে এই প্রসঙ্গে ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বিধানসভায় বলেন, বিজেপি বিধায়ক সভাকে বিভ্রান্ত করছেন। যে চিঠি তিনি পেশ করেছেন তাতে ২৫ একর জমি চাওয়া হয়েছে। ক্রীড়া পরিকাঠামোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে আগে জমি দেওয়া হলে তা ব্যবহার করা হয়নি বলে তিনি জানান।
প্রশ্নোত্তর পর্বে পর্যটন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানিয়েছেন, বিভিন্ন জেলায় পর্যটন স্থল উন্নয়নের জন্য উদ্যোগ নিয়েছে তাঁর দপ্তর। জেলাশাসকদের মাধ্যমে দপ্তরের কাছে ৫৬টি প্রস্তাব এসেছে। বিধায়কদের কোনও প্রস্তাব থাকলে তা জেলাশাসকদের মাধ্যমে পাঠানোর জন্য তিনি অনুরোধ জানান। কারিগরি শিক্ষাদপ্তরের মন্ত্রী হিসেবে ইন্দ্রনীলবাবু জানিয়েছেন, ‘উৎকর্ষ বাংলা’-সহ বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যগে কারিগরি প্রশিক্ষণে জোর দেওয়া হয়েছে। উৎকর্ষ বাংলার লোগো তৈরি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।