ছ’মাসের মধ্যেই কুলিয়া সেতুর নির্মাণকাজ শেষ করার উদ্যোগ, পরিদর্শনে বিধায়ক
বর্তমান | ১০ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, উলুবেড়িয়া: হাওড়া জেলার দ্বীপাঞ্চল আমতা ২ নম্বর ব্লকের ভাটোরা, ঘোড়াবেড়িয়া ও চিৎনান এলাকাকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করার লক্ষ্যে মুণ্ডেশ্বরী নদীর উপর কুলিয়া সেতু নির্মাণের কাজ চলছে। গত বছর এপ্রিল মাসে কুলিয়া সেতুর কাজের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেছিলেন রাজ্যের পূর্ত ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের মন্ত্রী পুলক রায়। তারপর জোরকদমে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। মাঝে বন্যার সময় বেশ কিছুদিন কাজ বন্ধ ছিল। বর্তমানে ফের কাজ শুরু হয়েছে। শনিবার সেতুর কাজ পরিদর্শন করেন আমতার বিধায়ক সুকান্ত পাল এবং পূর্তদপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা। বিধায়ক সুকান্ত পাল বলেন, নদীর উপর চারটি পিলার তৈরির কাজ শেষ। আর একটি পিলার তৈরি হবে। এরপর সেতুর উপরের অংশ ঢালাই হবে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে।
সুকান্তবাবু বলেন, সেতু নির্মাণের কাজ শেষ হলে নদীর দু’পাড়ে অ্যাপ্রোচ রোড নির্মাণ করা হবে। রাস্তার জন্য ইতিমধ্যেই জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয়েছে। জমিদাতারাও ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন। এটি তৈরি হলে দ্বীপাঞ্চলের প্রায় ৬০ হাজার মানুষ উপকৃত হবেন। এখানকার বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হতে চলায় রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানান বিধায়ক। প্রসঙ্গত, বাম আমলে একাধিকবার কুলিয়া সেতুর শিলান্যাস হলেও বাস্তবে তা তৈরি হয়নি। ২০১৮ সালে হাওড়া জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে সেতুর প্রসঙ্গটি তোলেন পুলক রায়। এইপর সেতু তৈরির বিষয়ে তৎপরতা শুরু হয়।
গত বছর ৯ ফেব্রুয়ারি পাঁচলার সভা থেকে কুলিয়া সেতুর ভার্চুয়াল শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, দেড়শো মিটার লম্বা ও ১০ মিটার চওড়া এই সেতু ছাড়া ভাটোরার দিকে ২৩০ মিটার ও কুলিয়ার দিকে ২৩৫ মিটার অ্যাপ্রোচ রোড তৈরি হবে।