• তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য খুনে আইএসএফের দিকেই আঙুল 
    বর্তমান | ১০ ডিসেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ: কুলপির দক্ষিণ গাজিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য নুরুদ্দিন হালদারের খুনের ঘটনায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিস। ধৃতেরা হল ইলিয়াস হালদার ও রউফ হোসেন হালদার। তারা আইএসএফ কর্মী বলে দাবি করেছে মৃতের পরিবার। তবে খুনের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। যদিও পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, পুরনো কোনও রাজনৈতিক শত্রুতার জেরেই এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। সোমবার ধৃতদের ডায়মন্ডহারবার মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক সাত দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেন। প্রসঙ্গত, রবিবার সন্ধ্যায় মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় দৌলতপুর গ্রামে প্রায় ছ’জন ঘিরে ধরে নুরুদ্দিনকে কুপিয়ে খুন করে বলে অভিযোগ।


    এই ঘটনায় আইএসএফ যুক্ত বলে অভিযোগ ওই নেতার বাড়ির সদস্যদের। নুরুদ্দিনের বউমা আজমিরা বিবি বলেন, শ্বশুরমশাই নির্বাচনে জয়ী হয়ে দু’বার পঞ্চায়েত সদস্য হয়েছেন। গত নির্বাচনের সময় আইএসএফের সঙ্গে গণ্ডগোল হয়েছিল। সেই থেকে তাঁর উপর বেশ কয়েকবার আক্রমণও করা হয়েছে। প্রতিবার প্রাণে বেঁচে গেলেও এবারে আর শেষ রক্ষা হল না। অবিলম্বে দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছে হালদার পরিবার। 


    তবে খুনের সঙ্গে কোনওভাবে আইএসএফ যুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার আইএসএফের সহ সম্পাদক বাহাউদ্দিন মোল্লা। তিনি বলেন, আইএসএফ খুনের রাজনীতি করে না। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আমাদের দলের নাম জড়ানো হচ্ছে। যদি কেউ প্রমাণ করাতে পারে, তাহলে প্রশাসনের পাশাপাশি দলও এ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এদিকে এই ঘটনার পর এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে। বিশাল পুলিস বাহিনী ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা হয়েছে। 


    সুন্দরবন পুলিস জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও বলেন, এই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খুনের কারণ খোঁজা হচ্ছে।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)