• গ্রামীণ হাওড়ায় ব্লক পাবলিক হেলথ ইউনিটের সংখ্যা বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্যদপ্তর
    বর্তমান | ১০ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: গ্রামীণ এলাকার স্বাস্থ্য পরিষেবায় জোর দিতে এবার ব্লক পাবলিক হেলথ ইউনিটের সংখ্যা বাড়াতে উদ্যোগী হল জেলার স্বাস্থ্যদপ্তর। জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় তৈরি হওয়া ব্লক হেলথ ইউনিটের উদ্বোধন হবে মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে। নতুন অর্থবর্ষে তিনটি ব্লকে তৈরি হচ্ছে বিপিএইচইউ। পাশাপাশি একাধিক সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রে অত্যাধুনিক ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন বসাচ্ছে স্বাস্থ্যদপ্তর।


    জেলার স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে জেলার ৯টি ব্লকে বিপিএইচইউ তৈরি করা হচ্ছে। এরমধ্যে ২০২১-’২২ অর্থবর্ষে সাঁকরাইল, উলুবেড়িয়া-১ ও আমতা-১ নম্বর ব্লকে বিপিএইচইউ তৈরি হয়েছে। সেগুলি মুখ্যমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন। ২০২২-’২৩ অর্থবর্ষে তিনটি ব্লকে বিপিএইচইউ তৈরির কাজে হাত দেওয়া হয়েছিল। সেই কাজ প্রায় শেষের পথে। ২০২৩-’২৪ অর্থবর্ষে আরও তিনটি বিপিএইচইউ তৈরির কাজ শুরু করছে স্বাস্থ্যদপ্তর। উদয়নারায়ণপুরের দেবীপুর, বাগনানের মুগকল্যাণ ও শ্যামপুর-২ নম্বর ব্লকের ঝুমঝুমিতে এই ইউনিটগুলি তৈরি হবে। এক একটি বিপিএইচইউ তৈরিতে খরচ হবে প্রায় ৬৬ লক্ষ টাকা। এই সমস্ত ইউনিটে একই ছাদের তলায় বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে পারবেন সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি সেখানে স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়নের জন্য ব্লক ডেটা ম্যানেজার, ব্লক এপিডেমিওলজিস্ট, ব্লক পাবলিক হেলথ ম্যানেজাররা থাকবেন।


    হাওড়া জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ কিশলয় দত্ত বলেন, ‘ব্লক পাবলিক হেলথ ইউনিটের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি আরও প্রচুর সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে। বিভিন্ন সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রে অত্যাধুনিক পরিষেবা চালু করা হচ্ছে।’ সাঁকরাইলের একটি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ইতিমধ্যেই মাদার অ্যান্ড চাইল্ড কেয়ার ইউনিট তৈরি করা হয়েছে। ডোমজুড় ও জগৎবল্লভপুরের দু’টি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন বসিয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তর। এই মেশিনগুলি প্রথম বছর দেখভাল করবে সংশ্লিষ্ট সংস্থা। পরবর্তীকালে স্বাস্থ্যদপ্তরের হাতে থাকবে রক্ষণাবেক্ষণের ভার। এক একটি মেশিন বসাতে খরচ হয়েছে প্রায় ২২ লক্ষ টাকা। স্বাস্থ্যদপ্তর ও বিধায়ক তহবিলের অর্থে এবার গ্রামীণ এলাকার মানুষ আরও উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা পাবেন বলে জানিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।
  • Link to this news (বর্তমান)