সংবাদদাতা, উলুবেড়িয়া: স্কুল ছাত্রী ও পরিবেশ কর্মীদের তৎপরতায় বাগনান ও আমতা থেকে উদ্ধার হল বিলুপ্তপ্রায় দু’টি বিশালাকার কাছিম। এগুলি ময়ূরী কাছিম বা পিকক সফটশেল টার্টল। একটির ওজন ন’ কেজি এবং অন্যটির ওজন চার কেজি। বাগনানের বৈদ্যনাথপুর গ্রামের স্কুল পড়ুয়া অঙ্কিতা পাঁজা সোমবার সকালে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় লক্ষ্য করে, একটি বিশালাকার কাছিম পাশের ডোবা থেকে উঠে রাস্তা পার হচ্ছে। তা দেখে অঙ্কিতা ও তার মা রীনা পাঁজা কাছিমটিকে বাড়ি নিয়ে আসেন। খবর পেয়ে ওই বাড়িতে আসেন পরিবেশকর্মী সুমন্ত দাস, রঘুনাথ মান্না, ঝিন্দন প্রধান ও চিত্রক প্রামাণিক। তাঁরা কাছিমটিকে বৈদ্যনাথপুর গ্রামের একটি জলাশয়ে ছেড়ে দেন। অন্যদিকে এদিন আমতার গাজিপুর গ্রাম থেকে আরও একটি কাছিম উদ্ধার হয়। সেটির ওজন চার কেজি। পরে সেটিকে এলাকার জলাশয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। বন্যপ্রাণ সংরক্ষণকারী চিত্রক প্রামাণিক বলেন, ময়ূরী কাছিম শিকার করা বা আটকে রাখা আইনত দণ্ডনীয়। এক্ষেত্রে জেল ও জরিমানা দু’টিই হতে পারে।