'আমাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই', 'দিদিকে বলো'তে ফোন করে ঘর পেল ১৪৯ পরিবার
আজকাল | ১০ ডিসেম্বর ২০২৪
আজকাল ওয়েবডেস্ক: আমাদের মাথা গোঁজার ঘর নেই। 'দিদিকে বলো'র হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে সে কথা বলার পরই মুশকিল আসান। আবাস যোজনায় ঘর প্রাপকদের নতুন তালিকায় হিঙ্গলগঞ্জের ১৪৯টি পরিবারের নাম উঠে গেল।
উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকে মূলত প্রান্তিক মানুষেরই বসবাস। বহু পরিবার দারিদ্রসীমার নীচে বসবাস করে। সরকারি নিয়ম মেনে ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে তারা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে ঘরের জন্য আবেদন করেছিল। গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে সেই আবেদনপত্র অনুযায়ী প্রাথমিক সমীক্ষাও হয়েছিল। কিন্তু আবাস যোজনার উপভোক্তাদের নামের তালিকা প্রকাশ হতেই দেখা যায়, বহু যোগ্য আবেদনকারী বাদ পড়েছেন। সরকারি ঘর না পেয়ে বহু পরিবারকেই ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে খোলা আকাশের নীচে দিনযাপন করতে হচ্ছে।
আবাস যোজনার তালিকায় বঞ্চিত ওই পরিবারগুলো অবশেষে রাজ্য সরকারের 'দিদিকে বলো' হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে। তারপর ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে আবেদনকারীর কাছে বেশ কিছু তথ্য চাওয়া হয়। সেই তথ্য পাঠানোর মাস না ঘুরতেই ব্লক অফিসের আধিকারিকরা আবেদনকারীদের বাড়িতে পৌঁছে গেলেন। অবশেষে আবাস যোজনা ঘর প্রাপকদের তালিকায় নতুন করে ১৪৯টি পরিবারের নাম যুক্ত হল। তালিকায় নাম উঠতেই হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের গৃহহীন বাসিন্দারা খুশিতে ফেটে পড়েন।
স্যান্ডেল বিল পঞ্চায়েতের বাসিন্দা শেফালি গাইন বলেন, 'আমাদের ঘর নেই। প্লাস্টিকের ছাউনির নীচে কোনওরকমে সন্তানদের নিয়ে বসবাস করি। আবাস যোজনার ঘরের জন্য নিয়ম মেনে আবেদন করেছিলাম। কিন্তু তালিকায় আমাদের নাম ছিল না। পরে আমরা 'দিদিকে বলো' হেল্প লাইন নম্বরে ফোন করেছিলাম। কিছুদিন পরে ব্লক অফিস থেকে আধিকারিকরা এসে কাগজপত্র নিয়ে গিয়েছিলেন। আবাস যোজনার তালিকায় এবার আমাদের নাম উঠেছে।' আরেক বাসিন্দা সাদেক গাজি বলেন, 'আগে অনেকবার চেষ্টা করেছি। আবাস যোজনায় আমাদের নাম ওঠেনি। তারপর 'দিদিকে বলো' হেল্প লাইনে সবকিছু জানানোর পর আবাসের তালিকায় আমাদের নাম এসেছে। আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।'
হিঙ্গলগঞ্জের স্যান্ডেল বিল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ইকবাল আহমেদ বলেন, 'উপযুক্ত যোগাযোগের অভাবে গ্রামের বহু মানুষ বহু সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন। সে কথা বিবেচনা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির উদ্যোগে 'দিদিকে বলো' নামে হেল্পলাইন ফোন নম্বর চালু হয়েছে। নিয়ম মেনে আবেদনের পরেও হিঙ্গলগঞ্জের বহু পরিবারের নাম আবাস যোজনার তালিকায় ছিল না। তারা দিদিকে বলো নম্বরে ফোন করেছিল। আবাস যোজনার তালিকায় নতুন করে ১৪৯টি পরিবারের নাম যুক্ত হয়েছে। গরিব মানুষ ঘর পাবেন। আমরাও তাতে খুশি হয়েছি।'