তুষারপাতের সম্ভাবনা বেশি সান্দাকফু, ঘুম-সহ সিকিম সংলগ্ন উঁচু পার্বত্য এলাকায়। মঙ্গল এবং বুধবার উত্তরবঙ্গে ঘন কুয়াশার সর্তকতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতার। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুরে ঘন কুয়াশার দাপট থাকবে। দৃশ্যমানতা ২০০ মিটারের নিচে থাকবে। এমনকী ৫০ মিটারেও নেমে যেতে পারে দু-এক জায়গায়।
দক্ষিণবঙ্গে পশ্চিমের বেশ কিছু জেলায় ঘন কুয়াশার সম্ভাবনা। মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমানে ঘন কুয়াশা। কুয়াশা বেশি থাকতে পারে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রামে। দৃশ্যমানতা দু-এক জায়গায় ২০০ মিটারের নিচে নামার সম্ভাবনা। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা পাস করছে বাংলা ও সিকিমের উপরিভাগ দিয়ে। এর প্রভাবে মেঘলা আকাশ, হালকা বৃষ্টি, বিক্ষিপ্তভাবে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায়। দুপুরের পর আর বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
শীতের আমেজ বুধবার থেকেই পাওয়া যাবে। রোদ ঝলমলে পরিষ্কার আকাশ, কমবে পারদ। ১১ ডিসেম্বর বুধবার থেকে লাগাতার সাত দিন তাপমাত্রা কমতে পারে। দক্ষিণবঙ্গে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমতে পারে। আগামী শনি রবিবারে কলকাতায় ১৫ ডিগ্রি নিচে এবং পশ্চিমের জেলায় ১০ ডিগ্রির নিচে নামতে পারে পারদ।
কলকাতায় সকালে আংশিক মেঘলা আকাশ। বেলা বাড়লে প্রধানত পরিস্কার আকাশ। বিকেলের পর ফিরবে শুষ্ক আবহাওয়া। কাল থেকে একটু একটু করে পারদ পতন। শনি রবিবার ১৫ এর নিচে নামতে পারে কলকাতার রাতের তাপমাত্রা। রাতের তাপমাত্রা শনিবার ১৫.৭। রবিবার ১৬.৫। কাল সোমবার ১৮.২ । অর্থাৎ ৪৮ ঘণ্টায় রাতের তাপমাত্রা প্রায় ৩ ডিগ্রি বেড়েছে। আজ রাতে তা নেমে ১৭ এর ঘরে পৌঁছাবে। কাল দিনের তাপমাত্রা ২৬.৪ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমান ৪০ থেকে ৯১ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় গড়ে ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। শহরে ভোরের দিকে কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা ৫০০ মিটারে নেমে গিয়েছিল। পরে তা বেড়ে ৮০০ মিটার হয়েছে।