ধৃত চার জনের মধ্যে আছেন সিলেট জেলা পরিষদের অপসারিত চেয়ারম্যান ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিরউদ্দিন খান, সিলেট মহানগর যুব লীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, সিলেট মহানগর যুব লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল লতিফ রিপন এবং আওয়ামী লীগের সক্রিয় সদস্য ইলিয়াস আহমদ জুয়েল। পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার নিউটাউনের একটি ফ্ল্যাট থেকে মেঘালয় পুলিশ কলকাতা পুলিশের সহায়তায় তাঁদের গ্রেফতার করে। বারাসত আদালতের আইনজীবী আসলামউজ্জামান সাহেব বলেন, "অনুপ্রবেশ, ছিনতাই, জাতীয় সড়কে ডাকাতি, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত ও মারধরের অভিযোগে ধৃতদের রবিবার বারাসত আদালতে আনা হয়। ট্রানজ়িট রিমান্ডের জন্য আনা হলেও আদালত ছুটি থাকায় বিচারকের সামনে হাজির করানো হয়নি। ধৃতদের শিলং নিয়ে যাওয়া হয়েছে।"
মেঘালয় পুলিশের কাছে মোট ছ’জনের নামে মামলা রয়েছে। ধৃতেরা বাদে বাকি দুই অভিযুক্ত হলেন সিলেট স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফসার আজিজ ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাস মিঠু। তাঁরা পলাতক।
কলকাতার ফ্ল্যাট থেকে সুনামগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের এক কর্তাকেও আটক করে মেঘালয় পুলিশ। পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অবশ্য গুয়াহাটিতে থাকা বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশন জানিয়েছে এখনও মেঘালয় পুলিশ তাদের কিছু জানায়নি।