দলে ভাঙনের পর থেকেই পূর্ব মেদিনীপুরের সংগঠন নিয়ে সতর্ক তৃণমূল। তবে এই সময়েই শুভেন্দু অধিকারীর জেলায় শাসক দলে উত্তমের উত্থান হয়েছে খুব দ্রুত। গুরুত্বপূর্ণ এই জেলায় একই সঙ্গে বিধায়ক ও জেলা পরিষদের সভাধিপতির দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। সেই সূত্রেই জেলা তৃণমূলে তাঁকে নিয়ে দড়ি টানাটানিও রয়েছে গোড়া থেকে। গত লোকসভা নির্বাচনে কাঁথি আসনে তাঁকে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। লোকসভা ভোটে হেরে গেলেও রাজ্য মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ হিসেবে তাঁর অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে এক সময়ে চর্চা শুরু হয়েছিল শাসক শিবিরে। তৃণমূল সূত্রের বক্তব্য, জেলা দলের টানাপড়েনের জেরেই এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর তোপের মুখে পড়েছেন উত্তম। পূর্ব মেদিনীপুরের দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে এ দিন কিছুটা পরেই ঢুকেছিলেন উত্তম। তিনি পৌঁছতেই মুখ্যমন্ত্রী তাঁর কাজকর্মে অসন্তোষ প্রকাশ করে ভর্ৎসনা করেন। বিধানসভার চলতি অধিবেশনের মধ্যেই এর আগে এক দিন বৈঠকে তৃণমূল নেত্রীর তিরস্কারের মুখে পড়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সভাপতি তথা অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীও।
এরই পাশাপাশি, কৃষ্ণনগরের সাংসদ তথা জেলা সংগঠনের সভাপতি মহুয়া মৈত্রের নামে এ দিনও নদিয়ার একাধিক বিধায়ক মমতার কাছে নালিশ জানিয়েছেন। দলীয় সূত্রে খবর, সেই আলোচনা বাড়তে দেননি মুখ্যমন্ত্রী। দলের বিধায়কদের মমতা জানিয়েছেন, পরে জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন তিনি। চাপড়ার বিধায়ক তথা কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান রুকবানুর রহমানের বক্তব্য, ‘‘নেত্রী জানিয়েছেন, লোকসভা ও বিধানসভা অধিবেশন মিটে যাওয়ার পরে জেলাগুলিকে নিয়ে বসবেন। তার আগে এ সব নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না।’’