মমতা একটি সাক্ষাৎকারে ‘ইন্ডিয়া’র নেতৃত্বের প্রসঙ্গ তোলার পরই এই ভাষ্যটি ঘুরছে রাজধানীর অলিন্দে। তবে বিষয়টি নিয়ে সরাসরি মুখ খুলছেন না কংগ্রেস নেতৃত্ব। প্রথমত, হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্রে ধাক্কার পর কংগ্রেস জোটে ছড়ি ঘোরানোর জায়গায় নেই। তবে ‘ইন্ডিয়া’য় বিতর্ক তৈরি করা যেমন কংগ্রেসের অভীষ্ট নয়, তেমন মাঝারি স্তরের নেতাকে দিয়ে মমতার এই ভাষ্যকে খোঁচা মারার সুযোগও ছাড়ছে না তারা। আজ বিজয়সাইয়ের পোস্টকে উদ্ধৃত করে রাহুল-ঘনিষ্ঠ মানিকম টেগোর ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবে বলেন, “সমস্ত বিজেপি–বি দলকে দেখা যাচ্ছে মোদী এবং আদানির সমান কর্মসূচি ভাগ করে নিতে। এমন কেন?” আদানি ঘুষ কাণ্ডের প্রশ্নে তৃণমূল দলের তরফ থেকে নীরবতা বজায় রেখেছে। ওয়াইএসআর কংগ্রেস-ও নীরব, কারণ তাদের বিরুদ্ধেই রয়েছে আদানি গোষ্ঠীর কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ। ফলে, দু’দলকে এক বন্ধনীতে এনে, কংগ্রেস জোট নেতৃত্বের প্রশ্নে উষ্মা প্রকাশ করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। আর বিজেপির অনুরাগ ঠাকুর বলেন, “রাহুলকে দলের লোকেরাই মানেন না। সেখানে অন্য দলের কোনও নেতাকে মেনে নেওয়া কতটা সম্ভব, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।”