পশ্চিমবঙ্গে সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্য দু’কোটি বেঁধে দিয়েছিলেন অমিত শাহ। এখনও সদস্য সংগ্রহ পঞ্চাশ লক্ষ না ছোঁয়ায় বঙ্গ বিজেপির সাংসদদের উপর অসন্তোষ প্রকাশ করেন বনসল। সূত্রের মতে, এখন পর্যন্ত ৪০-৪১ লক্ষ সদস্য সংগ্রহ হয়েছে। যাঁদের মধ্যে ৩৫ লক্ষের নাম-ঠিকানা যাচাই শেষ করেছে দল। সাংসদদের এক লক্ষ করে সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হলেও, রাঢ়বঙ্গের এক সাংসদের সদস্য সংগ্রহ চল্লিশ হাজারের নীচে হওয়ায় ক্ষোভ জানান তাঁকেও। সূত্রের মতে, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলায় সদস্য সংগ্রহ অভিযান চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্য বিজেপির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ১৫ দিন অন্তর পশ্চিমবঙ্গ যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বনসল।
দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যকে কয়েকটি কেন্দ্রীয় প্রকল্পে আর্থিক সাহায্য দেওয়া বন্ধ রেখেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। তৃণমূল নেতৃত্বের মতে, রাজনৈতিক ভাবে বাংলা দখল করতে না পেরে এখন টাকা বন্ধ করে মানুষের সঙ্গে শত্রুতা করছে কেন্দ্র। বিষয়টি যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনেও তৃণমূল হাতিয়ার করবে তা বুঝে প্রকল্পের পরিকল্পনা জমা দিতে বলেছেন বনসল। বিজেপির এক সাংসদের কথায়, ‘‘উত্তরবঙ্গ, রাঢ়বঙ্গ, মেদিনীপুর, কলকাতা, নদিয়া—সব মিলিয়ে রাজ্যের পাঁচটি প্রান্ত থেকে পাঁচটি বড় প্রকল্পের পরিকল্পনা দ্রুত জমা দিতে বলা হয়েছে। তা এমসের মতো হাসপাতাল, রেল প্রকল্প বা রেল কারখানা, বা ভারী শিল্পের স্থাপনের প্রস্তাব হতে পারে।’’ কিন্তু জমি সমস্যা? ওই সাংসদের জবাব, ‘‘কেন্দ্র প্রয়োজনে রাজ্যের সঙ্গে কথা বলবে। কিংবা কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে যে জমি রয়েছে তাতে দরকারে প্রকল্প গড়া হবে।’’ এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় প্রকল্প খুব ভাল কথা। কিন্তু তার আগে রাজ্য যে ন্যায্য অর্থ কেন্দ্রের কাছ থেকে পায়, তা দেওয়া হোক।’’