সিআইডি জানিয়েছে, গত ১২ মে চিকিৎসা করাতে কলকাতায় এসেছিলেন ঝিনাইদহের আওয়ামী লীগের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম। ১৩ মে চিকিৎসা করাতে যাওয়ার নাম করে বরাহনগরের আত্মীয়ের বাড়ি থেকে বেরোন। তার পরেই নিখোঁজ হন তিনি।
১৮ মে বরাহনগর থানায় নিখোঁজের মামলা রুজু হয়। তদন্তে নেমে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ এবং বরাহনগর থানা জানতে পারে, নিউ টাউনের একটি আবাসনে নিয়ে গিয়ে সাংসদকে খুন করেছে কয়েক জন বাংলাদেশি। সেই মামলায় সিআইডি জিহাদ হাওলাদার এবং মহম্মদ সিয়ামকে গ্রেফতার করে। বাংলাদেশ পুলিশ গ্রেফতার করে শিমূল ভুঁইয়া, শেলাস্তি রহমান, ফয়জল এবং মুস্তাফিজুর নামে বাকি অভিযুক্তদের। তবে ওই ঘটনার মূল চক্রান্তকারী এবং সাংসদের বাল্যবন্ধু আখতারুজ্জামান শাহিন ফেরার।
জিহাদ এবং সিয়ামের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই চার্জশিট পেশ করেছে সিআইডি। তাতে তদন্তকারীরা জানান, খুনের পরে সাংসদের দেহের মাংস এবং হাড় পৃথক করেছিল অভিযুক্তরা। ছোট ছোট মাংসখণ্ড কমোডে ফেলে জল ঢেলে দেওয়া হয়েছিল। আর হাড়গুলি ফেলা হয়েছিল ভাঙড়ের বাগজোলা খালে।
এ দিকে, জিহাদ এবং সিয়ামের বিরুদ্ধে তিন মাস আগে বারাসত আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হলেও এখনও চার্জ গঠন হয়নি। সিআইডির আশা, শীঘ্রই চার্জ গঠন করে বিচারের প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে। তবে হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশে ধৃতদের কী অবস্থা, তার কোনও খবর মেলেনি বলেও সিআইডি সূত্রের দাবি।