আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, পশ্চিমি ঝঞ্ঝা উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে পূর্ব ভারত হয়ে বিদায় নিয়েছে। তবে উত্তর ভারতে রয়েছে জ়েড স্ট্রিম উইন্ড। অসমে একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে বাংলাদেশে। পাশাপাশি, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ। নিম্নচাপটি ক্রমে পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম অভিমুখে শ্রীলঙ্কা উপকূলের গা ঘেঁষে তামিলনাড়ু উপকূলের দিকে এগোবে। বুধবার এটি স্থলভাগে ঢুকতে পারে। এই সবই দক্ষিণবঙ্গে শীতকে আরও কিছুটা পিছিয়ে দিয়েছে। ফলে আগামী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণের জেলাগুলিতে তাপমাত্রার বিশেষ হেরফের হচ্ছে না বলে জানিয়েছে আলিপুর। তবে তার পর থেকে আগামী দু’তিন দিনে পারদপতনের সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার থেকেই তাপমাত্রা দুই থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যেতে পারে। সপ্তাহান্তে কলকাতার তাপমাত্রা নামতে পারে ১৫ ডিগ্রি বা তার নীচে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে ১০ ডিগ্রি বা তারও নীচে নামতে পারে তাপমাত্রা।
উত্তরবঙ্গেও তাপমাত্রা খানিকটা কমবে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায় বুধবার সকালে ঘন কুয়াশা থাকবে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর এবং মালদহে কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা ১৯৯ মিটার থেকে ৫০ মিটার পর্যন্ত নেমে যেতে পারে। সে জন্য সকালের দিকে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। এই জেলাগুলিতে কুয়াশার হলুদ সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর।
দক্ষিণবঙ্গেও বুধবার সকালে ঘন কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে। পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদের কিছু কিছু জায়গা ঘন কুয়াশায় ঢাকতে পারে। তবে দক্ষিণবঙ্গেও সর্বত্র শুষ্কই থাকবে আবহাওয়া।
কলকাতায় মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ১.৬ ডিগ্রি বেশি। তবে সোমবারের তুলনায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়েছে। সোমবার কলকাতায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হয়েছিল ২৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে মঙ্গলের সকালেও সবচেয়ে বেশি ঠান্ডা ছিল পুরুলিয়ায়। তাপমাত্রা ছিল ১২.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া, ঝাড়গ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩.৫ ডিগ্রি, কল্যাণীতে ১৫.২ ডিগ্রি, শ্রীনিকেতনে ১৩.৬ ডিগ্রি, কৃষ্ণনগরে ১৩.২ ডিগ্রি, বর্ধমানে ১৩.৬ ডিগ্রি, দমদমে ১৭.০ ডিগ্রি এবং বাঁকুড়ায় ১৫.১ ডিগ্রি।