মঙ্গলবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চের মন্তব্য, ‘‘ওই অভিযুক্তকে সত্যিই কি গ্রেফতার করার দরকার রয়েছে সিবিআইয়ের? এখন কেন তাঁকে গ্রেফতার করতে হবে? কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা গ্রেফতারির সংখ্যা বৃদ্ধি করার জন্য কি কাজ করছে?’’ আদালত মৌখিক ভাবে জানায়, আগামী সোমবার পর্যন্ত ‘প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট’ (সশরীরে হাজির করানোর নির্দেশের আবেদন) কার্যকর করতে পারবে না সিবিআই। পরবর্তী শুনানির দিন ওই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে জানাতে হবে, কেন সুজয়কৃষ্ণকে গ্রেফতারের প্রয়োজন রয়েছে।
সুজয়কৃষ্ণের আগাম জামিনের মামলা দায়ের নিয়েও মঙ্গলবার প্রশ্ন তুলেছে হাই কোর্ট। বিচারপতি বাগচীর প্রশ্ন, ‘‘সিবিআই পরোয়ানা জারি করেছে। এই অবস্থায় কী ভাবে এক জন জেলবন্দি অভিযুক্ত আগাম জামিনের মামলা করতে পারেন?’’ তাঁর মন্তব্য, ‘‘এখনই কেন আগাম জামিন নিতে হবে? তিনি একটি মামলায় হেফাজতে রয়েছেন। তাঁর বিমান, না ট্রেন ধরার তাড়া রয়েছে? আইন মোতাবেক তিনি এখন সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন।’’
নিয়োগ মামলায় ধৃত ‘কাকু’কে ইডির মামলায় জামিন দিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের বেঞ্চ তিনটি শর্তে ‘কাকু’র জামিন মঞ্জুর করেছে। অন্য দিকে, নিয়োগ মামলাতেই তাঁকে হেফাজতে নিতে চাইছে সিবিআই। নিম্ন আদালতে তারা এ বিষয়ে আবেদন জানালে বিচারক জানিয়েছেন, ‘কাকু’কে সশরীরে হাজির হতে হবে আদালতে। না হলে সিবিআই তাঁকে হেফাজতে নিতে পারবে না। ‘কাকু’ প্রসঙ্গে সোমবার একই মন্তব্য করেছে কলকাতা হাই কোর্টও। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের বেঞ্চ জানায়, ‘কাকু’ সশরীরে আদালতে হাজির হতে না-পারলে তাঁকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে হাজির করানো যেতে পারে। সে ক্ষেত্রেও আর্জি মঞ্জুর হলে ‘কাকু’কে হেফাজতে নিতে পারবে সিবিআই। উচ্চ আদালত জানিয়েছে, কারও হাজিরার নির্দেশে তারা বাধা দিতে পারে না।
‘কাকু’র ‘প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট’এর জন্য নিম্ন আদালতে আবেদন জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। তা মঞ্জুরও করা হয়। কিন্তু অসুস্থতার কারণে তাঁকে হাজির করানো যায়নি। জেল কর্তৃপক্ষ তাঁর মেডিক্যাল রিপোর্ট নিম্ন আদালতে জমা দিয়েছেন। এ বার হাই কোর্টও সুজয়কৃষ্ণের মেডিক্যাল রিপোর্ট দেখতে চেয়েছে। পাশাপাশি, তাঁর গ্রেফতারির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।