• ভুয়ো শংসাপত্র নিয়ে চাকরির মামলায় এ বার সরকারি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও
    আনন্দবাজার | ১০ ডিসেম্বর ২০২৪
  • বারাসত এসডিও অফিস থেকে জাল জাতি শংসাপত্র নিয়ে উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালে এক ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান কাজ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আরও অভিযোগ, সব জেনেও স্বাস্থ্য দফতর ও প্রশাসন নীরব এবং আদালতের নির্দেশ পেয়েও তারা পদক্ষেপ করছে না। এর জন্য অভিযোগকারী গত ১৯ নভেম্বর আদালত অবমাননার মামলাও দায়ের করেছেন।

    ২০২৩ সালের ১৯ মে সোমা বসু সরকার নামে এক জন স্বাস্থ্য দফতর ও এসডিও অফিসে লিখিত অভিযোগ জানান, তাঁর বোন লুনা সরকার তফসিলি জাতির ভুয়ো শংসাপত্র দেখিয়ে ২০১৭ সাল থেকে সরকারি চাকরি করছেন। নথিপত্র দিয়ে সোমা দাবি করেন, তাঁরা তফসিলি জাতি বা উপজাতির অন্তর্ভুক্ত নন। কিন্তু কোনও উত্তর না পেয়ে সোমা চলতি বছরের ৮ মার্চ কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেন।

    গত ৩১ জুলাই হাই কোর্ট নির্দেশ দেয়, দু’মাসের মধ্যে এসডিও-কে তদন্ত শেষ করে স্বাস্থ্য ভবন, কোর্ট ও অভিযোগকারীকে রিপোর্ট দিতে হবে। শুনানিতে অভিযোগকারীকেও এসডিও অফিসে ডাকতে হবে বলে আদালত জানায়। কিন্তু সোমার অভিযোগ, ওই নির্দেশ এসডিও অফিস মানেনি। এর পরেই ১৯ নভেম্বর তিনি আদালত অবমাননার মামলা করেন।

    সোমার আরও অভিযোগ, ‘‘বারাসত জেলাশাসকের অফিস ও এসডিও অফিসে জাল জাতি শংসাপত্রের একটা চক্র কাজ করছে। সেটা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।’’ এ ব্যাপারে জেলাশাসক শরদ দ্বিবেদী বলেন, ‘‘লুনা সরকারের তদন্ত রিপোর্ট এসডিও অফিসের তরফে আদালতে ও স্বাস্থ্য দফতরে পাঠানো হয়েছে।’’ একই দাবি করেছেন এসডিও সোমা দাস। কিন্তু অভিযোগকারীর প্রশ্ন, ‘‘আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আমি কেন সেই রিপোর্টের প্রতিলিপি পেলাম না?’’

    লুনা সরকার বলেন, ‘‘এসডিও অফিস সব যাচাই করেই আমাকে শংসাপত্র দিয়েছে। এর বেশি আমি কিছু বলব না।’’ প্রসঙ্গত, আগে উত্তর ২৪ পরগনা থেকে তফসিলি জাতি-উপজাতির ভুয়ো শংসাপত্র নিয়ে ডাক্তারিতে একাধিক পড়ুয়ার ভর্তির অভিযোগ উঠেছিল ও আদালতে মামলাও হয়েছিল।

  • Link to this news (আনন্দবাজার)