পুরীর ধাঁচে এবার জগন্নাথ মন্দির দিঘায়। সৈকত ভ্রমণের সঙ্গেই মিলবে পূজার্চনার সুযোগও। ২০১৯ সালে দিঘায় আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারের উদ্বোধন করতে দিঘায় যান মুখ্যমন্ত্রী। তখন মন্দিরের নকশা দেখিয়ে ঘোষণা করেছিলেন, 'আর একটা জগন্নাথ টেম্পল করে দেব। ট্যুরিজমের সঙ্গে ধর্মীয় স্থান থাকে। রিলিজিয়স ট্যুরজিমও হয়'। এরপর ২০২২ সালে ভূমিপুজো করে শুরু হয় মন্দির তৈরির কাজ।
২ বছর পার। চলতি বছরের রথযাত্রার দিনে দিঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানান, নির্মাকাজ এখনও পুরোপুরি শেষ হয়নি। সেকারণে রথে জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন হচ্ছে না। সঙ্গে আশ্বাস, আগামী বছর অর্থাত্ ২০২৫ সালে দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরে রথের রশিতে টান পড়বে। প্রস্তুতি এখন শেষ পর্যায়ে।
এদিকে উদ্বোধনে পর মন্দিরের কাজ কীভাবে পরিচালনা হবে? তা চূড়ান্ত করতেই দিঘায় গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী। মন্দির যাবতীয় দায়িত্ব ট্রাস্টে হাতে তুলে দেওয়া হবে খবর। মন্দিরের জগন্নাথদেবের পাথরের মূর্তি যেমন থাকবে, তেমনি থাকবে নিমকাঠের মূর্তিও। নিত্য়পুজো হবে। সেই পুজো-সহ সামগ্রিক ব্যবস্থাপনাও যাতে সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়, সেটাই মুখ্যমন্ত্রী এই দিঘা সফরের মূল লক্ষ্য।
পূর্ব মেদিনীপুরে তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার যুব সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দিঘায় জগন্নাথ মন্দির গড়ে উঠছে। সেই মন্দিরের প্রস্তুতি একদম শেষলগ্নে এসেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়েছেন, এবার রথযাত্রা যেন দিঘা থেকে হয়। রথযাত্রা পাঁচৃ-ছয় মাস বাকি রয়েছে। তার আগে নিজেই সরেজমিনে দেখতে চান, কাজ কতটা অসম্পূর্ণ রয়েছে। সেই কাজ কতদিনে সম্পূর্ণ করা যায়। আজ এবং কাল দিঘায় থাকবেন। পরশু দিনে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন'।