জেলার প্রায় ২৫২ কিলোমিটার কিছু বেশি বাংলাদেশ সীমান্ত বা বর্ডার রয়েছে যেখানে সরকারি হিসেবে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার কাছাকাছি সীমান্তে এখনও কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া যায়নি বিভিন্ন কারণে। অবশ্য বেসরকারি হিসেবে এই সংখ্যাটা শুধু হিলি ব্লক এই ৬০ কিলোমিটার এর কাছাকাছি। অভ্যন্তরে নিরাপত্তার সঙ্গে গোটা জেলায় ৩৫ কিলোমিটারের থেকেও কম দেখানো হয় যেখানে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া সম্ভব হয়নি।
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলে আটকে থাকা বাংলাদেশি নাগরিকদের সাজার মেয়াদ শেষ হলে এতদিন তাদের বহরমপুর সেন্ট্রাল জেলে নিয়ে গিয়ে সেখান থেকে একসঙ্গে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হত। কিন্তু বাংলাদেশে নতুন সরকার আসার পর এই প্রক্রিয়া পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। যার ফলে রাজ্যের প্রায় প্রতিটা সংশোধনাগারে বাংলাদেশ নাগরিক যাদের মেয়াদের উত্তীর্ণ হয়েছে তারা আটকে রয়েছেন। তারা নিজেদের দেশে ফিরতে পারছেন না, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর।
অনুপ্রবেশ এখনও চলছে তবে আগের থেকে কমেছে। কাঁটাতারের বেড়া টপকে বা অসংরক্ষিত এলাকা দিয়ে ওপার বাংলা থেকে এপারে মানুষ আসেন মূলত দালাল চক্রের হাত ধরে। সীমান্ত লাগোয়া গ্রামগুলিতে এসে প্রথমে আশ্রয় নেন। তাদের থাকার ব্যবস্থাও করে সেই দালাল রা এবং তারপর সুযোগ বুঝে পাঠিয়ে দেওয়া হয় দেশের বিভিন্ন জায়গায়।
বিরোধীদের অভিযোগ, কুমারগঞ্জ কুশমন্ডি হিলি ও তপনের সীমান্ত এলাকায় বিগত ১০ বছরে মাদ্রাসার সংখ্যা বেড়েছে। আধুনিক পরিকাঠামোযুক্ত সীমান্ত লাগোয়া এই মাদ্রাসায় কারা পড়ছেন? কারা যাতায়াত করছেন? সে বিষয়ে সঠিক তথ্য জেলা প্রশাসনের কাছে নেই। বিগত কয়েক বছরের সীমান্ত এলাকা গুলিতে এই ধরনের মাদ্রাসার সংখ্যা বেড়েছে প্রচুর। বিরোধীদের অভিযোগ এই সমস্ত সীমান্ত লাগোয়া মাদ্রাসাগুলিতে বাংলাদেশী দের আশ্রয় দেওয়া হয়।