‘টাকা না ছাড়লে কাজ হবে না’, ভূমি রাজস্ব আধিকারিকের বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ দায়ের
এই সময় | ১০ ডিসেম্বর ২০২৪
ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ উঠল ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিকের বিরুদ্ধে। ২০ লক্ষ টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুরাতন মালদা ব্লকের বিএলএলআরও (BL &LRO)-এর বিরুদ্ধে। বিপ্লবকুমার মণ্ডল নামে ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে মালদা থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের হয়েছে। অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ। অপরাধ প্রমাণিত হতে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে বলে জানান জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিএলএলআরও।
মালদা থানার সামুন্ডা কলোনির বাসিন্দা ফারুক হোসেনের অভিযোগ, তাঁর আত্মীয় দিলওয়ারা খাতুনের স্থানীয় মৌলপুর এলাকায় প্রায় ৫ একর জমি ছিল। ফারুকের দাবি, দিলওয়ারা নিঃসন্তান ছিলেন। ফারুক ও তাঁর পরিবারই দিলওয়ারার সম্পত্তির আইনি দাবিদার। কিন্তু দিলওয়ারার মৃত্যুর পর সেই জমি ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর অন্যের নামে রেকর্ড করিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। বিএলএলআরওকে এ নিয়ে অভিযোগ জানানো হলে তিনি ওই জমির নথি ফারুকের নামে করে দেওয়ার জন্য ২০ লক্ষ টাকা দাবি করেন বলেও অভিযোগ তাঁর। এর পরই ন্যায় বিচারের দাবিতে প্রশাসনের দ্বারস্থ হন।
পরিবারের সদস্য রাজু হোসেন বলেন, ‘বিএলএলআরও-এর নামে এফআইআর করেছি। এ জমি নিয়ে কোনও হিয়ারিং হয়নি। তার আগেই রেকর্ড করে দিল। নিশ্চয়ই টাকার লেনদেন কিছু হয়েছে।’ ফারুক হোসেনের অভিযোগ পত্রে লেখা হয়েছে, ‘বিএলএলআরও ২০ লক্ষ টাকা চান। তিনি বলেন, নো টিপস নো ওয়ার্ক।’
যদিও বিপ্লবকুমার মণ্ডলের বক্তব্য, ‘আমরা রেকর্ড বা মিউটেশনের কাজ খুবই কম করি। রেভিনিউ অফিসাররা সবটা দেখেন। তবে অভিযোগ ওঠার পর আমি কেসটা দেখি। দিলওয়ারা খাতুন এই জমির পার্টিশন শুট (সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলা) করে যান। রেভিনিউ ইন্সপেক্টর এনকোয়ারিও করেন। সেই মতো রেকর্ড হয়েছে। সেই রেকর্ড নিয়ে কারও আপত্তি থাকলে সেই মতো আপিল যেতেই পারে। তবে টাকা চাওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন।’