কিছুদিন আগেই ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্ব দিতে পারেন বলে উল্লেখ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর এ হেন ইচ্ছে নিয়ে এ দিন লালুকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্বে নিয়ে আসা উচিত।’ কংগ্রেস ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শরিক হওয়ায় কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নেতৃত্বে আনা নিয়ে আপত্তি জানাতে পারে? জবাবে লালু প্রসাদ যাদব বলেন, ‘তাতে কিছু যায় আসবে না।’
লালুর আগে তাঁর ছেলে তেজস্বী যাদবও জানিয়েছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদকে ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্বে আনা হলে তাঁর কোনও আপত্তি নেই।
কিছুদিন আগে বাংলার একটি টেলভিশন চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি ইন্ডিয়া জোট তৈরি করেছিলাম। যারা সেই জোটের নেতৃত্বে রয়েছেন তাঁরা সামাল দিতে না পারলে আমরা কী করব? আমি শুধু এটুকুই বলতে চাই সকলকে সঙ্গে নিয়ে চলা উচিত।’ সেইসঙ্গে ইন্ডিয়া জোটের দায়িত্ব নিতে তিনি প্রস্তুত বলেও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
ইন্ডিয়া জোটের একের পর এক নেতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নেত্রী করার পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন। অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রস্তাবে সমর্থন জানিয়েছে। এ বার সেই তালিকায় এলেন লালু প্রসাদ যাদবও। NCP নেতা শরদ পাওয়ারও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জোটের নেত্রী করার পক্ষে। তিনি বলেছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোটের নেতৃত্ব দিতে সক্ষম। তিনি এ দেশের একজন বিশিষ্ট নেত্রী। তাঁর সেই ক্ষমতা আছে।’ মমতা কিংবা ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্ব সম্পর্কে কোনও মন্তব্য না করলেও সমন্বয়ের অভাব নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন CPI-এর সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা।