একাধারে যেমন বাংলাদেশের কোনও প্রকাশনী সংস্থা নেই ঠিক তেমনিভাবেই পাঠকদের মধ্যেও খানিকটা চাহিদা কম ওপার বাংলার লেখক লেখিকাদের বইয়ের। বর্তমান টালমাটাল পরিস্থিতিই এর পেছনে দায়ী কি না তা হলফ করে না বলা গেলেও চাহিদা কমার এটাই খানিকটা কারণ বলে মনে করছেন স্টলদাতারা। তাদের বক্তব্য , অতীতের কথা ছেড়ে দিলেও বিগত বছরের বই মেলাতেও তাহমিমা আনাম, হোসেন আরা সাহেদ, দিলারা হাশেম, হুমায়ুন আহমেদ, নীল কবির এমনকি তসলিমা নাসরিনের বইয়েরও চাহিদা ছিল। পাঠকরা এসে তাদের বইয়ের কথা জানতে চাইতেন। কিন্তু এবছর সেই রকম চিত্র নেই।
অন্যদিকে, বইলেমায় নিজের সংগ্রহশালার জন্য বই কিনতে গিয়ে মেয়র গৌতম দেব বলেন, 'আসলে পাঠকরা ঠিক করবে তারা কোনটা পড়বে আর কোনটা পড়বে না। তবে আমাদের এখানে মিশ্র ভাষাভাষীর মানুষ। বহু ইংরেজি স্টল এসেছে। সেখানেও যেমন ভালো বিক্রি হচ্ছে তেমনি বাংলা স্টল গুলোতেও বিক্রির পরিমাণ ভালো বলে শুনেছি৷'
পুস্তক বিক্রেতা সুজয় হালদার বলেন , 'বই বিক্রি তুলনামূলকভাবে ভালোই চলছে। কিন্তু বাংলাদেশের বইয়ের চাহিদা নেই। তেমন কোনও জিজ্ঞাস্য নেই। হয়তো বর্তমান পরিস্থিতির জন্যই এই পরিবেশ৷' পুস্তক বিক্রেতা দেবব্রত ঘোষ বলেন , 'আমরা বাংলাদেশের বই বিক্রি করিনা। কিন্তু মানুষ এসে বাংলাদেশের লেখক লেখিকাদের বইয়ের কথা জিজ্ঞেস করত। এবছর সেটা নেই।' পুস্তক বিক্রেতা বিমান বোস বলেন , 'এবার কোনও বাংলাদেশের স্টল নেই। কমিটির এই সিদ্ধান্তকে আমরা স্যালুট জানাই। অন্যদিকে বাংলাদেশের বইয়ের চাহিদা যথেষ্ট কম। এটা বর্তমান পরিস্থিতির জন্যই হয়েছে।' পুস্তক বিক্রেতা লাল বাহাদুর রায় বলেন , 'বাংলাদেশের লেখক লেখিকাদের বইয়ের চাহিদা নেই। সেই কথাকে মাথায় রেখে এবার আমরা সেই অর্থে ওপার বাংলার বইও স্টক করিনি।'