• বদলের বাংলাদেশের প্রভাব এবার বইমেলাতেও! বাংলায় চাহিদা নেই পদ্মাপারের বইয়ের...
    ২৪ ঘন্টা | ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নারায়ণ রায়: শুরু হয়ে গিয়েছে ৪২ তম উত্তরবঙ্গ বইমেলা। গ্রেটার শিলিগুড়ি পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এই বইমেলার উদ্বোধক হিসাবে শনিবার উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা অনির্বাণ চক্রবর্তী এবং লেখিকা অর্পিতা সরকার। শীতের শুরুতে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের মেলা প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয় উত্তরের উত্তরবঙ্গ বইমেলা। দেশ বিদেশ থেকে প্রচুর স্টল এসে শোভা বাড়ায় এই বইমেলায়। অন্যান্যবারের মতো এ বারও ঘটা করে অনুষ্ঠিত হয়েছে বইমেলা। মোট ৯৪টি স্টল রয়েছে বই মেলায়। আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এই বইমেলা। এবারে কলকাতা বইমেলায় থাকছে না, বাংলাদেশের কোন বুক স্টল ঠিক তেমনি শিলিগুড়ি এই উত্তরবঙ্গ বইমেলাতেও দেখা পাওয়া যাচ্ছে না বাংলাদেশের I প্রকাশনী সংস্থাকে।

    একাধারে যেমন বাংলাদেশের কোনও প্রকাশনী সংস্থা নেই ঠিক তেমনিভাবেই পাঠকদের মধ্যেও খানিকটা চাহিদা কম ওপার বাংলার লেখক লেখিকাদের বইয়ের। বর্তমান টালমাটাল পরিস্থিতিই এর পেছনে দায়ী কি না তা হলফ করে না বলা গেলেও চাহিদা কমার এটাই খানিকটা কারণ বলে মনে করছেন স্টলদাতারা। তাদের বক্তব্য , অতীতের কথা ছেড়ে দিলেও বিগত বছরের বই মেলাতেও তাহমিমা আনাম, হোসেন আরা সাহেদ, দিলারা হাশেম, হুমায়ুন আহমেদ, নীল কবির এমনকি তসলিমা নাসরিনের বইয়েরও চাহিদা ছিল। পাঠকরা এসে তাদের বইয়ের কথা জানতে চাইতেন। কিন্তু এবছর সেই রকম চিত্র নেই।

    অন্যদিকে, বইলেমায় নিজের সংগ্রহশালার জন্য বই কিনতে গিয়ে মেয়র গৌতম দেব বলেন, 'আসলে পাঠকরা ঠিক করবে তারা কোনটা পড়বে আর কোনটা পড়বে না। তবে আমাদের এখানে মিশ্র ভাষাভাষীর মানুষ। বহু ইংরেজি স্টল এসেছে। সেখানেও যেমন ভালো বিক্রি হচ্ছে তেমনি বাংলা স্টল গুলোতেও বিক্রির পরিমাণ ভালো বলে শুনেছি৷'

    পুস্তক বিক্রেতা সুজয় হালদার বলেন , 'বই বিক্রি তুলনামূলকভাবে ভালোই চলছে। কিন্তু বাংলাদেশের বইয়ের চাহিদা নেই। তেমন কোনও জিজ্ঞাস্য নেই। হয়তো বর্তমান পরিস্থিতির জন্যই এই পরিবেশ৷' পুস্তক বিক্রেতা দেবব্রত ঘোষ বলেন , 'আমরা বাংলাদেশের বই বিক্রি করিনা। কিন্তু মানুষ এসে বাংলাদেশের লেখক লেখিকাদের বইয়ের কথা জিজ্ঞেস করত। এবছর সেটা নেই।' পুস্তক বিক্রেতা বিমান বোস বলেন , 'এবার কোনও বাংলাদেশের স্টল নেই। কমিটির এই সিদ্ধান্তকে আমরা স্যালুট জানাই। অন্যদিকে বাংলাদেশের বইয়ের চাহিদা যথেষ্ট কম। এটা বর্তমান পরিস্থিতির জন্যই হয়েছে।' পুস্তক বিক্রেতা লাল বাহাদুর রায় বলেন , 'বাংলাদেশের লেখক লেখিকাদের বইয়ের চাহিদা নেই। সেই কথাকে মাথায় রেখে এবার আমরা সেই অর্থে ওপার বাংলার বইও স্টক করিনি।'

     

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)