ঘটনাটি ঠিক কী? ৯ অগাস্ট আরজি করের সেমিনার রুমে উদ্ধার হয় ট্রেইনি ডাক্তারের অর্ধনগ্ন দেহ। ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠেছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে যখন আরজি কাণ্ডের তদন্ত করছে সিবিআই, তখন স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মামলাটি গ্রহণ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের নজরদারিতে তদন্ত চলছে। বস্তুত, আজ মঙ্গলবার ফের মামলাটির শুনানিও হল শীর্ষ আদালতে। পরবর্তী শুনানি চার মাস পর! কবে? আগামী বছরের ১৭ মার্চ।
নির্যাতিতার পরিবারের সাফ কথা, 'সুপ্রিম কোর্টে আমাদের জন্য কিছুই করবে না, এটা আমরা ভালোই বুঝে গিয়েছি। এতদিন তো অপেক্ষায় ছিলাম। এখন দেখি আবার চার মাস পিছল। সুপ্রিম কোর্টে তো বিচার হচ্ছে না। মনিটরিং হচ্ছে। সেটাও যে মিথ্য়ার উপরে দাঁড়িয়ে মনটরিং হচ্ছে, আমরা আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছি'।
নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, 'সিবিআই যেমন বলছে, আমরা সবসময় বাড়ির লোক মা-বাবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। আমরা তো কিছু জানি না। সিবিআই বলেছিল আগের থেকে যে, চার্জশিট যখন আমরা দেব, তখন আপনাদের সঙ্গে কথা বলেই চার্জশিট দেব। আমাদের তাও জানা নেই যে শিয়ালদহ কোর্টে চার্জশিট জমা দিয়েছে। ক'দিন ধরে মেসেজ করে যাচ্ছিল, সাপলিমেন্টারি চার্জশিট কবে দেবেন, কিন্তু কোনওরকম কোনও উত্তর দিচ্ছে না। নব্বই দিনের মাথায় চার্জশিট দেব, আর ২ দিন বাকি! কী করছে, সিবিআই জানে। কিছুটা তো এখন হতাশই মনে হচ্ছে'।
তাহলে এবার কী করবেন? নির্যাতিতার বাবা জানালেন, 'আইনগতভাবে আমরা ব্যবস্থা নেব। কাউকে জানিয়ে কোনও লাভ হবে, এটা আমরা বুঝে গিয়েছে। কেউ কোনও সহযোগিতা করবে না। আমার মেয়ে যে মারা গিয়েছে,সবাই মুখেই যত কথা বলছে, আসলে কারোও কোনও চিন্তাভাবনা নেই। যা গিয়েছে, আমাদেরই গিয়েছে আমাদেরই সব ব্যবস্থা করতে হবে'।
এদিন সুপ্রিম কোর্টে আরজি মামলার শুনানিতে স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, তথ্য-প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিত্ মণ্ডলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের জন্য রাজ্য়ের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে, কিন্তু মেলেনি। রাজ্যকে অনুমতি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ।