• এই বছর ভাঙা যাবে না মন্দারমণির ১৪০টি হোটেল, স্থগিতাদেশের মেয়াদ বৃদ্ধি হাইকোর্টের
    এই সময় | ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • মন্দারমণির ১৪০টি হোটেল ভাঙা নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসকের নোটিসে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার সেই স্থগিতাদেশের মেয়াদ বৃদ্ধি করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। আগামী ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে। ২৭ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি।

    গত নভেম্বর মাসে মন্দারমণিতে বেআইনি হোটেল এবং লজগুলি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি। জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মেনে নোটিস দিয়েছিলেন তিনি। হোটেল কর্তৃপক্ষকে নির্মাণ ভেঙে জায়গা পরিষ্কার করতে বলা হয়েছিল সেই নোটিসে। সিআরজেড (কোস্টাল রেগুলেশন জোন)–এর নির্দেশ অমান্য করে মন্দারমণির সমুদ্র সৈকতে এই হোটেল ও লজগুলি তৈরি হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে।

    এই নির্দেশ সামনে আসার পরেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল মন্দারমণির হোটেল মালিক সংগঠন। গত ২২ নভেম্বর মামলাটি উঠেছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। তিনি ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত মেদিনীপুরের জেলাশাসকের দেওয়া নোটিসে স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন। পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসককে এই নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

    এ বার সেই স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরও বাড়ল। স্বাভাবিকভাবেই কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশে কিছুটা স্বস্তিতে মন্দারমণির হোটেল মালিকরা। মন্দারমণি হোটেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সহ সভাপতি দেবরাজ দাস জানিয়েছিলেন, ২০০৭, ২০১১, ২০২২ সালে একই ভাবে হোটেল ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিল পরিবেশ আদালত ও জেলা প্রশাসন। সেই সময়ও হোটেল মালিকরা আইনি লড়াই লড়েছিলেন। এ বারও সেই লড়াই তাঁরা চালিয়ে যাবেন।

    তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরি দাবি করেছিলেন, যাতে এই হোটেলগুলি ভাঙা না হয় সেই আবেদন নিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সরকার হোটেল ভাঙার পক্ষে নয় বলেও দাবি করেছিলেন এই বিধায়ক।
  • Link to this news (এই সময়)