• সভাপতির ঘর ফিরে পেতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ আরাবুল
    এই সময় | ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • এই সময়, ভাঙড়: ঘরের আমি ঘরের তুমি, ঘর দিয়ে যায়...সভাপতি চেনা! কাগজে–কলমে তিনি এখনও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। তাতে কী, বিজয়গঞ্জ বাজার এলাকায় ভাঙড়–২ পঞ্চায়েত সমিতির অফিসের দোতলায় আরাবুল ইসলামের ‘নিজের ঘর বেদখল’ হয়ে গিয়েছে। বিডিও তাঁর জন্য তিনতলায় বিকল্প ঘরের ব্যবস্থা করলেও সেই ঘরে আরাবুল বসতে নারাজ।

    আরাবুল তাঁর ‘নিজের ঘর’ ফেরত চান। এ বার সেই ঘর ফিরে পেতে আরাবুল কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানালেন। এ দিন আরাবুল তাঁর ছেলে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা পরিষদ সদস্য হাকিমুল ইসলামকে নিয়ে হাইকোর্টে গিয়ে ওই আবেদন করেছেন। হাইকোর্ট নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় প্রায় ১০ মাস পর গত সোমবার, ২ ডিসেম্বর আরাবুল ফের যান পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে।

    এ দিনও সকাল সাড়ে ১০টায় আরাবুল পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে পৌছন। তবে বিডিও–র ঘরে আধ ঘণ্টা বসে তিনি কলকাতায় চলে যান এবং হাইকোর্টে আবেদন জানান ঘর ফিরে পেতে। ভাঙড়–২ পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে সিঁড়ি দিয়ে দোতলায় উঠে প্রথমেই সেই ঘর। আরাবুল বলছেন, ‘২০১৩ সাল থেকে ওই ঘরটায় আমি বসছি। একবার পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি (২০১৮ থেকে ২০২৩) এবং দু’বার (২০১৩ থেকে ১০১৮ এবং ২০২৩ থেকে এখনও পর্যন্ত) সভাপতি হিসেবে আমি ওই ঘরে বসে কাজ করেছি। দোতলাতেই বিডিও, সহকারী সভাপতি ও কর্মাধ্যক্ষদের অফিস। সেখানেই সভাপতির ঘর থাকলে সাধারণ মানুষ সুষ্ঠু পরিষেবা পাবেন। যদি আমি অন্যত্র বসি, তা হলে মানুষ দুর্ভোগে পড়বেন।’

    ঘরটি অনেক বড়, তাতে অ্যাটাচ্‌ড টয়লেট এবং রেস্টরুম রয়েছে। বছর কয়েক আগে আরাবুল সযত্নে ঘরটির সংস্কার করিয়েছিলেন। ঘনিষ্ঠ মহলে আরাবুলের বক্তব্য, তিনি যে ১০ মাস (গ্রেপ্তার হওয়ার পর পুলিশি হেফাজতে ও জেলে থাকায় এবং তার পর কোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকায়) পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে অনুপস্থিত ছিলেন, সেই সময়ে সহকারী সভাপতি পঞ্চায়েত সমিতির কার্যনির্বাহী সভাপতি হলেও তাঁকে পর্যন্ত ঘরটি ছাড়া হয়নি, অথচ এক কর্মাধ্যক্ষ অন্যায় ভাবে ঘরটা দখল করেছেন।

    ওই ঘরে এখন বসছেন ভূমি ও বন কর্মাধ্যক্ষ খাইরুল ইসলাম। তিনি বলছেন, ‘পঞ্চায়েত সমিতিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যরা যে সিদ্ধান্ত নেন, সেটাই শেষ কথা। সবাই মিলে রেজ়োলিউশন এনে ঘরটা বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষকে দিয়েছেন। এখানে কোনও ঘরই কারও পৈতৃক সম্পত্তি নয়।’
  • Link to this news (এই সময়)