ময়ূরাক্ষীর সর্বেশ্বর ঘাটের কজওয়ে তৈরির নকশার কাজ শুরু সেচদপ্তরের
বর্তমান | ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, কান্দি: এলাকার ৬০টিরও বেশি গ্রামের বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি কী এবার মিটতে চলেছে? বড়ঞা ব্লকের পাঁচথুপি গ্রামের কাছে ময়ূরাক্ষীর সর্বেশ্বর ঘাটের কজওয়ের তৈরির নকশার কাজ শুরু করেছে সেচদপ্তর। তাই নিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে খুশির আবহ তৈরি হয়েছে। এই কজওয়ের দাবিতে বাসিন্দারা বহু বছর ধরে আন্দোলন করছেন। কজওয়ে তৈরি হলে ওই এলাকার ব্যবসায়িক পরিধি আরও বেড়ে যাবে বলে দাবি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বর্ধিষ্ণু পাঁচথুপি গ্রাম শতাব্দী প্রাচীন একটি ব্যবসাক্ষেত্র বলে পরিচিত। বহুকাল এই এলাকা ব্যবসায়িক ক্ষেত্র বলে ইতিহাস সূত্রেও জানা যায়। কিন্তু এমন একটি গ্রামের সঙ্গে অন্যান্য গ্রামের যোগাযোগের অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে ময়ূরাক্ষী নদী। ময়ূরাক্ষী ওই এলাকাকে কার্যত দ্বিখণ্ডিত করেছে। তাই নদীর দুই পাড়ের বাসিন্দাদের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির জন্য স্থানীয় সর্বেশ্বরঘাটে একটি কজওয়ে তৈরির দাবি করা হচ্ছে বহুবছর ধরে। পাঁচথুপি নাগরিক মঞ্চের সভাপতি অজিত শাস্ত্রী বলেন, বহু যুগ ধরেই ব্যবসায়িক ক্ষেত্র হিসেবে এই গ্রাম পরিচিত। অন্তত ইতিহাস সেই কথাই বলেছে। কিন্তু ময়ূরাক্ষীর নদীর ব্যবচ্ছেদে এলাকা কার্যত ভাগ হয়ে গিয়েছে। তাই নদীর দুই পাড়ের অন্তত ৬০টি গ্রামের বাসিন্দারা যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির জন্য কজওয়ের দাবি করছেন বহুবছর ধরে। কজওয়ে তৈরি হলে আবারও পাঁচথুপি গ্রামের ব্যবসায়িক পরিধি বেড়ে যাবে।
স্থানীয় মালিয়ান্দি গ্রামের বাসিন্দা তথা মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি বৈদ্যনাথ দাস বলেন, আমি পদে থাকার সময় খুব চেষ্টা করেছিলাম কজওয়ে তৈরির। এমনকী কজওয়ের নকশা তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু সেচ দপ্তরের অনুমতি না পাওয়ার জন্য বেশিদূর এগনো যায়নি। তবে কজওয়ে তৈরি হলে সবচেয়ে বেশি খুশি হব আমি নিজে।
এদিকে সম্প্রতি এলাকার বাসিন্দারা ফের কজওয়ের দাবিতে সরব হয়েছেন। এরজন্য প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় লিখিত জমা দেওয়া হচ্ছে। এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদ সদস্য আনারুল ইসলাম বলেন, কজওয়ে তৈরির ব্যাপারে আমরা খুবই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। অনেকবার সেচদপ্তরের কাছে আবেদন করা হয়েছে। এরপর সম্প্রতি সেচদপ্তরের কর্মীরা নদীঘাট এলাকা পরিদর্শনে এসেছিলেন। তাই দেখে বাসিন্দারা খুব খুশি।
কান্দি মহকুমা সেচদপ্তরের আধিকারিক সুনীলকুমার চট্টোপাধ্যায় বলেন, ময়ূরাক্ষী নদীর সর্বেশ্বর ঘাট এলাকা আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা পরিদর্শন করার পর নকশাও তৈরি করছেন। আগামী সপ্তাহে প্রজেক্ট রিপোর্ট সহ নকশা রাজ্য সেচদপ্তরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। • বড়ঞা ব্লকের ময়ূরাক্ষী নদীর এই জায়গায় সেচ দপ্তরের পক্ষ থেকে কজওয়ে তৈরির নকশা করা হচ্ছে।