কেশিয়াড়িতে যানবাহনের চাপ বাড়ছে, বাইপাস রাস্তা তৈরির দাবি স্থানীয়দের
বর্তমান | ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা বেলদা: সুবর্ণরেখা নদীর উপর জঙ্গলকন্যা সেতু নির্মাণের পর থেকে যানবাহনের চাপ বেড়েছে কেশিয়াড়িতে। তার উপর কেশিয়াড়িতে রাস্তার পাশে সপ্তাহে দু’দিন গ্রামীণ হাট বসায় যানজটে জেরবার কেশিয়াড়িবাসী। তাঁরা বিকল্প বাইপাস রাস্তা তৈরির দাবি তুলেছেন। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে বলে জানালেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি।
২০১১ সালে পালাবদলের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা মোতাবেক ২০১৬ সালে সুবর্ণরেখা নদীর ওপরে ভরসাঘাট এলাকায় জঙ্গলকন্যা সেতুর উদ্বোধন হয়। এই সেতুর ফলে সহজে নয়াগ্রাম হয়ে ঝাড়গ্রাম ও পড়শি রাজ্য ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ডের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হয়ে যায়। তাই গত কয়েক বছরে কেশিয়াড়ির ওপর যানবাহনের চাপ বেড়েছে। পণ্য পরিবহণ থেকে শুরু করে যাত্রীবাহী গাড়ির সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়তে শুরু করে এই রাস্তা দিয়ে। খড়্গপুর থেকে খুব সহজে কেশিয়াড়ি হয়ে ওড়িশা ও গোপীবল্লভপুর হয়ে ঝাড়খণ্ড পৌঁছনো যায়। প্রতিদিন কেশিয়াড়ি বাজারের ওপর দিয়ে হাজারের ওপরে পণ্য বোঝাই গাড়ি, বালি বোঝাই ডাম্পার সহ শতাধিক যাত্রীবাহী গাড়ি ও বাস যাতায়াত করে। এর মাঝে প্রতি বৃহস্পতিবার ও রবিবার কেশিয়াড়ি বাজার সংলগ্ন এলাকায় বসে গ্রামীণ হাট। আর তার ফলে তীব্র যানজটের সম্মুখীন হতে হয় এলাকাবাসীকে। রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে পড়ে সারি সারি গাড়ি।
কেশিয়াড়ির বাসিন্দা প্রদীপ শাসমল, রাজ সামন্ত বলেন, বৃহস্পতিবার ও রবিবার কেশিয়াড়িতে হাট চলাকালীন ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। জঙ্গলকন্যা সেতু তৈরি হওয়ার পর থেকে এই রাস্তা দিয়ে যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। এই রাস্তা দিয়ে নয়াগ্রাম সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল যাওয়ার সময় সমস্যায় পড়তে হয় রোগীদের। তীব্র যানজটে আটকে থাকে অ্যাম্বুলেন্স। আমরা চাই দ্রুত এই সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে বিকল্প বাইপাস রাস্তা তৈরি করা হোক। তাহলেই এই যানজটের চাপ কমবে।
কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি উত্তম সিট বলেন, বিষ্ণুনগর থেকে কুকাই পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটারের একটি বিকল্প রাস্তার প্রস্তাব জেলাতে পাঠানো হয়েছে। এই রাস্তা তৈরি হলে কেশিয়াড়ি বাজারকে বাদ দিয়ে বেশিরভাগ ভারী যানবাহন যাতায়াত করতে পারবে। এই রাস্তা তৈরি করতে প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দ ধরে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আশা করছি শীঘ্রই তার সমাধান হবে। জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ বলেন, কেশিয়াড়ি ব্লক থেকে বিকল্প রাস্তার প্রস্তাব নিয়ে আবেদনপত্র এসেছে। বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর করে দেখা হচ্ছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে রাস্তাটি করে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। কয়েক দিনের মধ্যে আমি নিজে এলাকা পরিদর্শনে যাব।-নিজস্ব চিত্র