• বিধায়কদের ঐক্যেই জিততে চায় তৃণমূল
    বর্তমান | ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, তমলুক: কন্টাই কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে গোঁজ প্রার্থীদের লিফলেট বিলি করে লড়াই থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। তা না হলে ব্যবস্থা নেবে দল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে মঙ্গলবার কোলাঘাটে দলের বিধায়ক ও জেলা নেতৃত্বকে নিয়ে মিটিংয়ের পর একথা জানিয়ে দিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ১১জন নেতাস্থানীয় প্রার্থীকে এই ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর বার্তা পাঠানো হবে। বুধবার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারাই তাঁদের কাছে পৌঁছাবেন।  তবে, এই মুহূর্তে প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করার সুযোগ নেই। তাই লিফলেট ছড়িয়ে লড়াই থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। 


    কন্টাই কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের নির্বাচনে কাঁথিতে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা নিয়ে চাপানউতোর চলছে। একই আসনে দলের একাধিক ব্যক্তি প্রার্থী হয়েছেন। এই অবস্থায় ভোট কাটাকুটির সুবিধা পাবে বিজেপি। সেকথা মাথায় রেখেই রাজ্য নেতৃত্ব এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছে। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী সোমবার বিধানসভায় এই জেলার দলের বিধায়কদের একযোগে ওই নির্বাচনে লড়াই করার বার্তা দেন। সেইসঙ্গে মঙ্গলবার কোলাঘাটে দলের বিধায়ক ও নেতৃত্বের সঙ্গে মিটিং করার জন্য রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নির্দেশ দেন। সেখানেই একটি অফিসিয়াল প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত হয়। কোলাঘাটে ওই মিটিংয়ে জেলার অধিকাংশ বিধায়কই উপস্থিত ছিলেন। 


    দলের প্রকাশিত প্রার্থী তালিকায় কাঁথি পুরসভার ৫নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলার রীনা দাস, প্রাক্তন শহর যুব সভাপতি কল্লোল ঘোষ, ব্যাঙ্কের প্রাক্তন ডিরেক্টর শ্যামাশিস মিশ্র, কন্টাই ক্লাবের সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু মাইতি প্রমুখের জায়গা হয়নি। তাঁরা প্রত্যেকে মনোনয়ন জমা করেছেন। মোট ১১জনকে লড়াই থেকে সরে দাঁড়ানোর বার্তা দেওয়া হবে। তাঁরা দলেরই যুযুধান দুই গোষ্ঠীর মদতে মনোনয়ন জমা করেছিলেন। কিন্তু, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইকে ১:১ হিসেবে শক্তপোক্ত করতে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এদিন কঠোর বার্তা দেওয়া হয়।


    কন্টাই কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের বোর্ড দখল নিতে তৃণমূল ও বিজেপি দুই পক্ষ আদাজল খেয়ে নেমেছে। নিজেদের মধ্যে রেষারেষি এবং ভোট কাটাকুটির সুবিধা যাতে বিপক্ষ দল না পায় সেব্যাপারে তৃণমূলের পক্ষ থেকে ঐক্যের সুর বেঁধে দেওয়া হল। এদিন সকালেই অফিসিয়াল প্রার্থী তালিকা থেকে তাঁর নাম বাদ পড়ার খবর পান কাউন্সিলার রীনা দাস। এরপর তিনি সাংবাদিক বৈঠক ডেকে এজন্য প্রাক্তন মন্ত্রী অখিল গিরি ও তাঁর পুত্র সুপ্রকাশ গিরিকে তুলোধনা করেন। তাঁরা বিজেপির সুবিধা করে দিতে কাজ করছেন বলেও আক্রমণ করেন। যদিও দলের কাউন্সিলারের এই বক্তব্যকে আমল দিতে চাননি অখিল গিরি। তিনি বলেন, কারা প্রার্থী হিসেবে লড়াই করবে সেটা দল ঠিক করে দিয়েছে। এখানে ব্যক্তিগত পছন্দ, অপছন্দের কোনও জায়গা নেই।বৈঠক শেষে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নির্বাচনী কেন্দ্র ধরে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে ১১জন আছেন। তাঁদের লড়াই থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য লিফলেট বিলি করতে আবেদন করা হবে। তা না করলে দলীয় স্তরে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।  মঙ্গলবার কোলাঘাটে দলের বিধায়ক ও জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)