সংবাদদাতা, মেদিনীপুর: বাম জামানায় এলাকার মানুষকে আনন্দ দেওয়ার জন্য ২০০৩ সালে ডেবরা পঞ্চায়েত সমিতি সহ সভাপতি প্রদীপ করের উদ্যোগে শুরু হয় আদি বালিচক উৎসব। এবার সেই উৎসব ও মেলা ২২ বছরে পড়ল। প্রতি বছরের মতো এবারও ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বালিচক ভজহরি হাইস্কুল প্রাঙ্গণে এই উৎসব ও মেলা চলবে। জেলার প্রাচীন ও বড় মেলাগুলির মধ্যে এই মেলা জায়গা করে নিয়েছে। যার প্রস্তুতি পুরোদমে শুরু হয়ে গিয়েছে। দীপঙ্কর বেরা, সঞ্জয় কর, উৎপল শুর সহ এক ঝাঁক উৎসাহী বাসিন্দাকে নিয়ে মেলাকে আকর্ষণীয় করে তুলেতে চেষ্টার কসুর করছেন না প্রদীপবাবু। এবার মেলা কমিটির স্থায়ী অফিস ও নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং মহাত্মা গান্ধীর মূর্তিও বসানো হবে। একই সঙ্গে তারও প্রস্তুতি চলছে। উৎসবের কর্ণধার প্রদীপবাবু বলেন, আগামী ২৩ জানুয়ারি বালিচকে মেলার স্থায়ী অফিস ও নেতাজি, গান্ধীজির মূর্তির উদ্বোধন করা হবে।
এবার মেলায় প্রায় ৩০০ স্টল থাকছে। নানা রকম খাবার, পোশাক পরিচ্ছদ, পণ্যের দোকান যেমন থাকছে। তেমনই ছোটদের আনন্দ দেওয়ার জন্য নানা ব্যবস্থা থাকছে। মেলা প্রাঙ্গণে প্রতিদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে নামী শিল্পীরা তাঁদের সঙ্গীত পরিবেশন করবেন। একঝাঁক নামকরা শিল্পী মেলা ও উৎসব প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠান করবেন বলে সম্মতি জানিয়েছেন। এছাড়া স্থানীয় শিল্পীরাও থাকছেন। প্রদীপবাবু বলেন, সরকারি নিয়ম মেনেই এই মেলা ও উৎসব পরিচালনা করা হয়। উৎসবের ক’টা দিন ডেবরা, বালিচক ছাড়াও পাশাপাশি ব্লকের বহু মানুষ মেলা প্রাঙ্গণে ভিড় জমান। মেলা যাতে সুষ্ঠুভাবে হয়, সেজন্য পুলিসও সহযোগিতা করে। এছাড়া স্বেচ্ছাসেবকরাও থাকবেন। উৎসব ছাড়াও কমিটির উদ্যোগে সারা বছর নানা সামজিক কর্মসূচিও নেওয়া হয়। যেমন বন্যার সময় ত্রাণ বিলি, রক্তদান শিবির, প্রতিবন্ধীদের সরঞ্জাম বিলি ও দুস্থ পড়ুয়াদের বই দেওয়া হয়। দুস্থ মানুষদের পাশে থেকে তাঁদের সহযোগিতা করাই এই কমিটির প্রধান লক্ষ্য।